প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) কখনোই শেষ হবে না। এটা এইচআইভি ভাইরাসের মতোই থেকে যাবে। এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ১৩ মে, বুধবার সংস্থাটির হেলথ ইমারজেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইক রায়ান এমন মন্তব্য করেন।
করোনা মহামারীতে যখন অর্ধেক বিশ্ব লকডাউনের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে দেশগুলো যখন তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে সৃষ্ট ঝুঁকির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে ডা. মাইক রায়ান এই মন্তব্য করেন। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও সাউথ চায়না মনিটর পোস্ট।
এ বিষয়ে ডা. মাইক রায়ান জানান, কোভিড-১৯ হবে এইডসের মতো, যা কখনোই শেষ হওয়ার নয়। তাই এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন ভাইরাসটির সংক্রমণ এভাবে ছড়াতে থাকলে তার ফল মারাত্মক হবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি আলোচনার টেবিলে তোলা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ভাইরাস মানবজাতির জন্য আরেকটি এনডেমিক (কোনো আঞ্চলিক বা পেশার সঙ্গে যুক্ত রোগবিশেষ) হতে যাচ্ছে। এর প্রাদুর্ভাব হয়তো কখনোই শেষ হবে না।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমি মনে করছি, আমাদের বাস্তববাদী হওয়াটা গুরত্বপূর্ণ। কেননা এই ভাইরাস কবে অদৃশ্য হবে কেউ তা অনুমান করতে পারবে বলে মনে হয় না। এছাড়া কবে এর প্রকোপ দূর হবে তারও কোনো দিনক্ষণ নেই। এই রোগ হয়তো আমাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী এক সমস্যা হিসেবে থেকে যাবে, নাও থাকতে পারে।’
ডা. মাইক রায়ান আরো জানান, বিশ্বে করোনার সম্ভাব্য এক শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির (৮টি) ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। হামসহ অন্যান্য অনেক রোগেরও তো ভ্যাকসিন রয়েছে, কিন্তু সেসব রোগ কিন্তু এখনো নির্মূল হয়ে যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মহামারীরতে পর্যটন শিল্পের লাখ লাখ লোকের চাকরি বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ জন্য তারা এই গ্রীষ্মকাল থেকে পর্যায়ক্রমে পর্যটন খাত খুলে দিবে। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছে। এছাড়াও সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেমন- গণপরিবহনে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধান করা।