স্টাফ রিপোর্টার// শাওন অরন্য:
কচুয়া উপজেলার শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর ও তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সালমা আক্তারের সাথে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
জাহাঙ্গীর ও সালমা কী তা হলে প্রেমে পড়েছে? গত ১৪ মে কচুয়া পৌরসভাধীন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মার্কেটের স্টুডিও মিনতির পরিচালক সুমন রায়ের ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া ছবিটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়ার পরপরই তাদের দু’জনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোরালো দাবি উঠতে শুরু করে। এক সন্তানের জননী সালমা আক্তার ভাইরাল হওয়া ছবি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, আমি আলীগঞ্জ পিটিআই’তে প্রশিক্ষণে রয়েছি। বিভিন্ন সময় জাহাঙ্গীর স্যারের সাথে আমার ফোনে কথা এবং দেখা হয়।
তিনি বিভিন্ন সময় আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দিতেন এবং আমি ওইসব কাজ করে দেই। এভাবেই তার সাথে আমার পরিচয় হয়ে উঠে। গত ৬ মে সোমবার জাহাঙ্গীর স্যার আমাকে ফোনে হাজীগঞ্জের একটি বাসায় যেতে বলে।
পিটিআই’র ছুটি হওয়ার পর আমি ওই বাসায় যাই। ওই বাসায়ই ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিটি তোলা হয়। এদিকে এক সন্তানের জনক কচুয়া পৌরসভাধীন ধামালুয়া গ্রামের অধিবাসী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, সালমার সাথে আমার সাধারণ পরিচিতি ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্ক নেই। ভাইরাল হওয়া ছবি সম্পর্কে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ ক’জন শিক্ষক জানান, ভাইরাল হওয়া ছবিটি ন্যাক্কারজনক। এটি পুরো শিক্ষক সমাজের সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষকদের চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এদিকে সুশীল সমাজ ভাইরাল হওয়া ছবির প্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর ও সালমার সাথে প্রকৃতপক্ষে কী সম্পর্ক তা উদ্ঘাটন করে শিক্ষা বিভাগ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।