করোনা শনাক্তে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত ‘জিআর র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের কাছে নমুনা কিট ও অর্থ জমা দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আজ বুধবার (১৩ মে) তারা এই নমুনা কিট ও অর্থ জমা দেবে।
এর আগে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ নমুনা কিট চেয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠায়। মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে সেই চিঠি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে পৌঁছায়। তাতে কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের পরীক্ষা বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট জমা দেয়ার জন্য বলা হয়।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ চিঠিতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলেছে। এটা সরকারি খরচ। এই খরচ দিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। বুধবার ব্যাংকে টাকা এবং বেলা ১১টার মধ্যে বিএসএমএমইউতে দুইশ কিট পৌছে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সরকারের কাছে এই কিটের নমুনা হস্তান্তরের কথা ছিলো। তবে আগের দিন কারখানায় বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক ক্রটির কারণে তা বাতিল করে গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ২৫ তারিখ তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত হয়নি।
২৬ তারিখ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে উদ্ভাবিত কিট পৌঁছে দেয় গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এরপর ৩০ এপ্রিল ওই কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার ২ মে প্রতিষ্ঠানের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।