কারান্তরীণ বরিশাল ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহমেদ মান্না সিটি নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি বৈধতা পেয়েছেন। উচ্চআদালতের নির্দেশে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহপন্থী এই ছাত্রলীগ নেতার প্রতীকও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রোববার (২৮ মে) উচ্চআদালতের আদেশ বরিশালে পৌঁছানোর পরপরই মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মান্নার পক্ষে ঘুড়ি প্রতীক বরাদ্দ দেন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
মান্নার স্বজনেরা জানান, মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না শহরের ২ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে ছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে ১৪ মে রাতে তাকেসহ তার ১০ অনুসারীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের কর্মীদের মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কাউনিয়া থানা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলার প্রেক্ষিতে আদালত অনুসারীসহ তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন, বর্তমানে মান্না করান্তরীণ আছেন। ওই উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করলেও মান্না নির্বাচনে অংশ নিতে কারাগারে থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন পূর্ব নির্ধারিত দিনে যাচাই-বাছাই করে ছাত্রলীগ নেতা মান্নার মনোনয়নপত্রটি অবৈধ বলে ঘোষণা দেয়। এর প্রেক্ষিতে বৈধতা ফিরে পেতে কারান্তরীণ মান্না উচ্চআদালতের দ্বারস্থ হন, এতে রায়ও তার স্বপক্ষে এসেছে। রোববার (২৮ মে) উচ্চআদালত সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন।
মান্নার স্বজনেরা জানান, উচ্চআদালতের আদেশ পেয়েই রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীর পক্ষে ঘুড়ি প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন।’