ই এম রাহাত ইসলামঃ পরিবারের নতুন অতিথির মুখ দেখতে ঢাকা থেকে বেশ আগেই নিজ বাড়িতে পাড়ি দিয়েছিলেন। এরমধ্যে তিনি অবশ্য ১৪ দিন করোনার জন্য ছিলেন পরিবার থেকে আলাদা। ছেলের ঘরে নতুন অতিথির আসার খবরে দারুণ খুশি দুদা প্যাদার মা। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে নিজ বাসায় দ্বিতীয় কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। মা ও সন্তান দুজনই ভালো আছে। ওদের জন্য দোয়া করবেন, তারা যেন সুস্থ থাকে, ভালো থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই দুঃসময়ে পরিবারের নতুন অতিথিকে পেয়ে দারুণ খুশি দুদা প্যাদা। কন্যা সন্তানের মাধ্যমে আল্লাহ পরিবারে সুখ ও বরকত দান করেন। হাদিসে এমন কথা উল্লেখ হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে এখনো অনেক পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নিলে ইতিবাচক চোখে দেখা হয় না। অনেকে আবার মেয়ে সন্তানের মায়ের ওপর নাখোশও হন। বিভিন্ন কায়দায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কন্যা সন্তান হলে অপছন্দ করা, তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং তাদের লালন-পালনের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করা, ইসলামপূর্ব বর্বর জাহেলি যুগের কুপ্রথা। এমন কাজে আল্লাহ তাআলা ভীষণ অসন্তুষ্ট হন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়, তখন তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে নাকি তাকে মাটির নিচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখো, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুরা আন-নাহল, আয়াত : ৫৮-৫৯)