ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করতে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে ভরা এজলাসের মধ্যেই উদ্ভুত পরীক্ষা দিয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটের নিউ হাভেন কোর্টে বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ দেহের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় ‘ফর্সা’ বলে দাবি করেন নির্যাতনের শিকার নারী। যদিও এমন দাবি মানতে নারাজ অভিযুক্তের কৌঁসুলি। জুরিদের সামনে তিনি দাবি করেন, তাঁর মক্কলের পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা করে দেখা হোক। তাহলেই অভিযুক্ত যে নির্দোষ তা প্রমাণ হয়ে যাবে। এরপর বিচারক অনুমতি দিলে ভরা এজলাসে ওই ব্যক্তিকে উন্মুক্ত করা হয়।
২০১২ সালে ওই নারী ধর্ষণ হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের কাছে তিনি জানান, অভিযুক্তের দেহের রং কালো হলেও পুরুষাঙ্গ ছিল তুলনায় ফর্সা। খবরের কাগজে ডেসমন্ড জেমস নামে ওই অভিযুক্তের ছবি দেখে শনাক্ত করেন তিনি।
পরে অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, ওই নারীর বক্তব্য অনুযায়ী তার মক্কেলের কোনো মিল নেই। এরপর ভরা আদালতে প্যান্ট খুলে প্রমাণ দেন অভিযুক্ত। আদালতের এমন বেনজির সিদ্ধান্তে শালীনতা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তীব্র সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মহল।
উল্লেখ্য, অন্য একটি মামলায় ১০ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত জেমস। ৬৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।