এপ্রিল ২৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ প্রচ্ছদ প্রশাসন বরিশাল

পলাশপুরে ৩০ মাদক ব্যবসায়ি অপ্রতিরোধ্য

ডেস্ক রিপোর্ট :

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানের মধ্যেও বরিশাল শহরের পলাশপুর এলাকায় চলছে বেপরোয়া মাদক বাণিজ্য। সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানা পুলিশ ও র‌্যাবের ধারাবাহিক টহলের পরেও মাদক বিক্রেতারা দমছে না। বিশেষ করে মাদক নিয়ে স্বামী পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে যাওয়ার পরে একই ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন স্ত্রী। তাছাড়া এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা দাবিদারও একাধিক ব্যক্তি বিশেষ রয়েছেন মাদক বিক্রিতে জড়িত। পাশপাশি তাদের পরিবার পরিজনও সক্রিয় আছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এক্ষেত্রে বলা চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমাম অভিযানের মধ্যে ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়িরা বেশিমাত্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে- পলাশপুরের বৌ বাজার লাগোয়া ব্রিজের ঢালের বাসিন্দা ইশাদ মাদকের সাথে জড়িত।

সাম্প্রতিকালে ইশাদ বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়ে ফের একই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে কোন কোন পরিবারে স্বামী স্ত্রীসহ পলাশপুরে অন্তত ৩০ মাদক ব্যবসায়ি এখনও সক্রিয় রয়েছেন। বিশেষ করে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা গাঁজা কালাম সাম্প্রতিকালে শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকলেও এখন এই ব্যবসায় নেমেছেন তার স্ত্রী। মূলত স্বামী কারাগারে যাওয়ার পরেই তিনি মাদক বিক্রিতে সক্রিয় হন বলে শোনা গেছে।

তাছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন- ৬ নম্বর গুচ্ছগ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে মুরাদ, একই এলাকার মিন্টু, বজলু মিয়ার ছেলে কালু, ৫ নম্বর গুচ্ছগ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে আসাদ, ফেন্সি আসলামের ছেলে আল আমিন, জাহাঙ্গীরের ছেলে সুমন, মাওলা ও তার স্ত্রী, খুর সুমন ও তার স্ত্রী রুমা বেগম, নুরু ও তার স্ত্রী তাহমিনা, বৌ বাজার এলাকার ইসমাইল মিয়ার ছেলে মনির, মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আলম মোল্লা, মানিক মোল্লা ও তার স্ত্রী, সেলিম মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা, সালাম ওরফে মাদকের ডিলার সালামের ছেলে রাসেল, বাসু মিয়ার ছেলে রিপন, বালা গফফারের ছেলে সুমন, জয়ফুল বেগম, মো. হানিফ, ডিস স্যামল, আসলাম, উত্তরা হাউজিং এলাকার আল আমিন, রাসেল, গালপোড়া আবুল, কাজীর গোরস্তান এলাকার জাহিদ ও সাজু খার ছেলে ইমাম। এই ইমামও ওই এলাকায় মাদকের হোলসেলার হিসেবে সমাধিক পরিচিত। কিন্তু এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান সাড়াশি অভিযানেও তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন- এই ৩০ ব্যবসায়িই এখনও সক্রিয় থেকে মাদক বিক্রি করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে তাদের নেতৃত্বে এলাকায় একধরনের হাট বসছে। সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানা পুলিশ বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও তাদের বাগে আনতে পারছে না। আবার কাউকে গ্রেপ্তার করলেও পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়ে ফের মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ছেন।

এমতাবস্থায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র নাসির উদ্দিন মল্লিকের ভাষ্য হচ্ছে- ব্যবসায়িদের তালিকা তৈরি করে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। তারা যে দলের লোক, যত ক্ষমতাধর ব্যক্তি জড়িত হোক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনে মুখোমুখি করা হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official