বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় মোট ১৭৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া, এ রোগ সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন। আক্রান্ত ও সুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ১১ হাজার ২১২ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় ১০ হাজার ৫০২ জনকে। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৯৭৫ জনকে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৭১০ জন এবং এ পর্যন্ত ৬৪৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ১২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং বিভাগের ৬ জেলায় ৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বরিশাল, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় ২১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় ২৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৩১৭ এবং তাদের মধ্যে ২০০ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৫৮, পটুয়াখালীতে ৩১, ভোলায় ৮, পিরোজপুরে ২৪, বরগুনায় ৩৯ ও ঝালকাঠিতে ১৬ জন করোনা ভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
পাশাপাশি বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৩৪, পটুয়াখালীতে ১৬, ভোলায় ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ২৫ ও ঝালকাঠিতে ৫ জন আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। তাদের ইতোমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, বরিশালের মুলাদী ও পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় একজন, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে একজন এবং বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে একজন করে মোট ছয়জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানান তিনি।