এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় বরিশালের মুলাদী উপজেলায় হেপি আক্তার নামে এক ছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলায় তারপিন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে তামানা আক্তার নামের আরেক ছাত্রী।
সোমবার বিকেলে বরিশালের দুই উপজেলায় পৃথক এ দুটি ঘটনা ঘটে।
মুলাদী থানা পুলিশের পরিদর্শক সাইদ আহমেদ তালুকদার জানান, মুলাদী উপজেলার দক্ষিণ বালিয়াতলী গ্রামের মন্টু বেপারীর মেয়ে হেপি আক্তার ছবিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষার সময় মা মারা যাওয়ায় হেপি আক্তার ৪ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। ২০১৯ সালে সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পুনঃরায় ফেল করায় হতাশ হয়ে পড়ে।
সোমবার বিকেলে সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অপরদিকে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় তামান্না আক্তার নামের এক ছাত্রী তারপিন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তামান্না ফুল্লশ্রী গ্রামের মৃত হান্নান ফকিরের মেয়ে ও শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে গণিতে ফেল দেখতে পেয়ে তামান্না ঘরে থাকা তারপিন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে তাকে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। উপজেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তামান্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়।