তানজিম হোসাইন রাকিব: স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না কেউ। সামাজিক দূরত্ব না মেনে ঈদের কেনাকাটা করতে বরিশাল নগরীর চকবাজার মার্কেট ও ফুটপাথে এভাবেই ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।
বরিশাল নগরীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চকবাজারের বড় বড় এবং স্বনামখ্যাত দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও অখ্যাত ও ছোট ছোট দোকানের এক শাটার খুলে আবার কখনো দুই শাটার ফেলে ভিতরে চলছে ঈদের বেচাকেনা। কিছু দোকান বন্ধ থাকলেও কিছু দোকানের বেচাবিক্রি চলায় সামগ্রিকভাবে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না বরিশালে। এদিকে নগরীর সদর রোড, গির্জা মহল্লা, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় দোকান খোলা রাখা হলেও চকবাজার-লাইনরোড-কাঠপট্টি-পদ্মাবতি এলাকার দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চাপে রয়েছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। গতকাল সকালেও বরিশাল নগরীর চকবাজার, গির্জা মহল্লা, বাজার রোড এবং কাঠপট্টি এলাকায় ঈদবাজার কেন্দ্রিক প্রচুর সংখ্যক মানুষ দেখা গেছে। ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড় বড় এবং ব্র্যান্ডের দোকানগুলো না খুললেও ছোট ছোট অনেক দোকান খোলা রাখা হয়েছে। গির্জা মহল্লা এবং বটতলার সব তৈরি পোশাকের দোকান খোলা রাখা হয়েছে। তবে এসব দোকানে শারীরিক দূরত্ব রক্ষাসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। নগরীর চকবাজারে কিছু দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে কর্মচারীরা। সম্ভাব্য ক্রেতা দেখলেই শাটার খুলে তাদের ভিতরে ঢুকিয়ে আবার শাটার ফেলে চলে বেচাকেনা।
এসব দোকানেও শারীরিক দূরত্ব রক্ষা, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিংযুক্ত পাপোস, জীবাণুনাশক স্প্রেসহ কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই দেখা যায়নি। সব দোকান না খুলতেই সকালের দিকে চকবাজারের রাস্তায় গা ঘেঁষে চলার অবস্থা হয় মানুষের। সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখলেই শাটার আটকে দেয় দোকানিরা।
এদিকে বরিশালের চকবাজার-লাইনরোড-কাঠপট্টি-পদ্মাবতী ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুর রহিম বলেন, সিটি মেয়রের আহ্বানে সারা দিয়ে করোনা সংক্রামণ এড়াতে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। কিন্তু কিছু কিছু ব্যবসায়ীর কারণে এই উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এদিকে দোকান খোলা রাখার নামে কেউ স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।