মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১২০ কোটি টাকা ফাঁকির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমানকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও তাকে পাসপোর্ট ইস্যু না করার জন্য পাসপোর্ট অধিদফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, প্রতিষ্ঠানটির বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার আওতায় আমদানিকৃত পণ্য খোলা বাজারে বিক্রির দায়ে গত ১৫ মে প্রতিষ্ঠানের চেয়াম্যান সৈয়দ আবিদুল ইসলাম এবং পরিচালক খন্দকার সুরাত আলীকে গ্রেফতারপূর্বক মানি লন্ডারিং আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আদালত আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুল্ক গোয়েন্দার অনুকূলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত ২০ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীর ইসলামপুরে একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-২৮২৩) আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্য খালাসের প্রাক্কালে সে দিন চালানটি আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি গোয়েন্দা টিম। গাড়ির চালকের কাছে পণ্যের স্বপক্ষে চালান দেখাতে বলা হলে তিনি সঠিক কাগজ দেখাতে পারেননি। পরে ওইসব কাগজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কাস্টমস বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার আওতায় (আই এম-৭ বি/ই) শুল্কমুক্তভাবে মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাট্রিজ’র অনুকূলে পলি সিনথেটিক ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য/কাঁচামাল আমদানি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইস্যুকৃত কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি উদঘাটন করে এ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি।