রাজশাহীর তানোরে শাশুড়িকে হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রেখেছে এক পুত্রবধূ।
বুধবার দুপুরে উপজেলার প্রকাশনগর আদর্শ গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে প্রতিবেশীরা পুত্রবধূকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের নাম মোমেনা বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী। আটক পুত্রবধূর নাম সখিনা বেগম (২২)। সে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
তানোর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ওই বাড়িতে মোমেনা বেগম ও তার ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী সখিনা বেগম ছিলেন। মোমেনা বেগমের ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ধান কাটার কাজে খুলনায় অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, আটক পুত্রবধূ সখিনা বেগম নিজেই শাশুড়িকে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখার কথা স্বীকার করেন। সে জানিয়েছে সকালে বাড়িতে ধান শুকানোর সময় মুরগি এসে ধান খায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার শাশুড়ি মোমেনা বেগম তাকে মারপিট করেন। দুপুরে তার শাশুড়ি ঘুমায়। ওই সময় বাঁশ দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করে। এতেই সে মারা যান। এরপর বাড়ির আঙ্গিনায় বড় চুলার নিজে গর্ত করে মোমেনাকে মাটি চাপা দেয়।
সখিনা বেগম আরও জানান, মাটি চাপা দেয়ার পর পাশের বাড়িতে গিয়ে তার জা মমিনুলের স্ত্রী রীনাকে বিষয়টি জানায়। এরপর বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধ্যায় স্থানীয় পৌর সভার কাউন্সিলর আবুল বাশারসহ প্রতিবেশীরা গিয়ে মোমেনা বেগমের দুই পুত্রবধূ সখিনা ও রীনাকে আটক করে পুলিশে খবর। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং পুত্রবধূকে আটক করে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, রাতেই লাশের ময়না তদেন্তর জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।