সিলেট নগরীতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক মিলিয়ে প্রতিদিন নয় হাজার কেজির বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়। কিন্তু এসব বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহন, পৃথকীকরণ ও নির্ধারিত স্থানে ডাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় না।
বুধবার সকালে সিলেট নগরীর চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এর গবেষক এসএম আরাফাত জুবায়ের। সিলেট নগরীর একটি হোটেলের বলরুমে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, বিআইজিডি এবং সিলেট সিটি করপোরেশন এই কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের মধ্যে যদি দেশপ্রেম জাগ্রত না হয়, আমরা যদি এই শহরকে নিজেদের শহর বলে মনে না করি, তবে শহরকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারব না। তিনি আরো বলেন, সিলেটে রাজনৈতিক সহমর্মিতা রয়েছে। আমাদের মধ্যে কাজের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা আরো বেশি সক্রিয়তা ও সহযোগিতা চাই।
কর্মশালায় গবেষক এসএম আরাফাত জুবায়ের চিকিৎসা বর্জ্যরে প্রকারভেদ অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন ডাস্টবিন ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দান, পরিবহনের জন্য কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার এবং কিছু কিছু বর্জ্য যথাযথভাবে নিঃশেষ করার উপর জোর দেন।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ জে এম নুরুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সিটিজ অ্যালায়েন্সের এশিয় আঞ্চলিক উপদেষ্টা অজয় সুরী, বিআইজিডির গবেষণা ফেলো ড. শাহনেওয়াজ হোসেন, সিলেট মহিলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারি পরিচালক, ড. নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
কর্মশলার দ্বিতীয় অধিবেশনে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ আইনবিদন সমিতির সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট শাহ শাহিদা আক্তার, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম প্রমুখ। বক্তারা নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধন, বিদ্যমান আইন অনুসরণ, প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করার প্রতি জোর দেন।