আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চালাছেন তা থেকে বরিশালবাসী বঞ্চিত। বিগত ১০ বছরে বরিশালবাসী নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। এখানকার মানুষের রয়েছে ট্যাক্সের বিরম্বনা।
এখানে রাস্তাঘাটের যেরকম খারাপ অবস্থা তেমনি রয়েছে পানি সরবারহে সংকোট। এই সংকোট থেকে উত্তরনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বরিশালের মানুষের জন্য কাজ করতে পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুর ১২ টায় নগরের বগুড়া রোড ক্রাউন কনভেশন হলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় ও ব জেলা-মহানগরের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধ বার বার হয়। একেক সময় একেক রকম মুক্তিযুদ্ধ হয়। এখন আমাদের সময় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে সকল অনিয়ম দুর করে উন্নয়নের যুদ্ধ করা। বরিশাল মানুষ যেমনিভাবে দীর্ঘদিন নিগৃহীত ছিলো আমিও তেমনি ১৫ আগষ্টের পরে দূর্বীসহ, নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছি। ১৫ আগষ্ট আমি আমার চোখের সামনে ভাই বোনকে নিহত হতে দেখেছি। আমি মানুষের কষ্ট, যন্ত্রনা অনুভব করতে পারি। সুযোগ পেলে সততার সাথে বরিশাল নগরীকে পুনঃগঠিত করবো। সিটি কর্পোরেশন চলবে সচ্ছতার মধ্য দিয়ে। তাই আগামী ১২ জুন ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে আপনারা সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিবেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন শাহিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর কমিটির সদস্য সচিব এহসান রাব্বীর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট আফজালুুুুুুল করিম, এ্যাডভোকেট আনিচ উদ্দিন শহিদ, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আমিন উদ্দিন মোহন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার, এবিএম মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক এমজি কবির ভুলু, বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মঈন তুষারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর ভাই ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছেলে। অথচ তাকে বরিশালবাসী সবাই চেনেন না। এর অর্থ দ্বারায় তিনি নিতান্তই একজন ভদ্র মানুষ। তিনি কোথাও ক্ষমতার প্রয়োগ করেননা। মুক্তিযুদ্ধকালীন জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন খোকন সেরনিযাবাত। তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। এরকম একজন ব্যাক্তিকে নির্বাচিত করতে না পারলে নগরী আবারো ড্রাগনের হাতে পরবে। খোকন সেরনিয়াবাত নির্বাচিত না হলে আমরা নগরবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হবো। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন।