কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে ফেলেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী শুভ রায়। খুব শিগগিরই বাজারে আসছে এই কৃত্রিম কিডনি। কম খরচে কিডনির সমস্যার চটজলদি সমাধান। শুভ রয়ের দাবি কিডনী প্রতিস্থাপনে বর্তমানে যে খরচ হয়, তার থেকে অনেক কমেই মানুষ অচল কিডনী জনিত সমস্যাগুলো থেকে সহজে মুক্তি পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকের জন্ম ১৯৬৯ সালের নভেম্বরে, ঢাকায়। যদিও পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রেই।
ক্যালিফোর্ণিয়িা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ওই প্রকল্পের নাম কিডনী প্রজেক্ট। সেখানে অবশ্য বাঙালি শুভ রয়ের সঙ্গে এই আবিস্কারে হাত লাগিয়েছেন নেফ্রোলজিষ্ট উইলিয়াম এইচ ফিসেল। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বহু কিডনী বিকল রোগীর শরীরে স্থাপন করা হয়েছে কৃত্তিম এই কিডনী।
যার আকার হাতের মুঠোর সমান। খরচ তুলনায় অনেকটাই কম। ২ কিডনি বিকল হলে রক্ত শোধনে ঘাটতি দেখা দেয়। শরীরে বিষাক্ত বর্জ্য জমে রক্ত দূষিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং এই যন্ত্রের সহ-আবিষ্কারক শুভ রায় জানিয়েছেন, চলতি দশকের শেষ অথবা নয়া দশকের গোড়ায় বাজারে পাওয়া যাবে এটি। আমেরিকায় তৈরি এই যন্ত্র আপাতত সেদেশের কয়েক হাজার রোগীর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে।
শারীরিক সুরক্ষা ও সর্বাঙ্গীন সাফল্যের পরীক্ষায় পাস করলে তা বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক এফডিএ।
কীভাবে কাজ করে এটি? শুভ রায় জানিয়েছেন,যন্ত্রটি সহজের পেটের ভিতরে স্থাপন করা যায়। স্বাভাবিক কিডনির মতো রক্ত শোধন করা ছাড়াও হরমোন উত্পাদন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
সাধারণ হিমোডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার মতো রক্ত থেকে বিষাক্ত বর্জ্য বাদ দেওয়া ছাড়াও জীবন্ত কিডনি কোষ দিয়ে তৈরি বায়ো রিঅ্যাক্টর এবং সূক্ষ্ণ পর্দার মাধ্যমে রক্ত শোধনের কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারে কৃত্রিম কিডনি।