তানজিম হোসাইন রাকিব: আবার আগের রুপে ফিরেছে বরিশাল নগরীর মার্কেট ও দোকান-পাট গুলো। গতকাল থেকে আবার ক্রেতারা ভিড় করেছে তাঁদের কেনাকাটার জন্য। প্রায় দীর্ঘ আড়াই মাস পর বরিশাল উজ্জিবিত হয়েছে তার সাবেক রুপে। আর দোকানীরাও ব্যস্ত হয়ে পরেছেন বেচা বিক্রি জন্য।তাদের মুৃখেও হাসি যেন আর ধরে না।
বাংলার মুখ ২৪.কম এর প্রতিবেদক সোমবার নগরীর চকবাজার,কার্ট পট্টি,বাজার রোড, গির্জা মহল্লা, সদর রোড, হাসপাতাল রোড, সাগরদী, স্বরোড, বটতলা নবগ্রাম রোড সহ সকল এলাকাতে ঘুরে এমন চিত্র দেখাখতে পায়।শুধু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয় খুলছে সরকারী বেসরকারি অফিস আদালতও।
বাংলার মুখ ২৪.কম এর প্রতিবেদক এর প্রশ্নের জবাবে এক দোকানদার বলেন, দীর্ঘ আড়াই মাস লকডাউনে খুবই খারাপ অবস্থা যাচ্ছিলো আমাদের। এই আড়াই মাসে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর দেয়া খাদ্য সহয়তা দিয়ে কিছুদিন কোনো রকম চলেছি। তারপরও খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছিল। এখন দোকান খোলায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।
উল্লেখ,৩১ মে থেকে থেকে বরিশালসহ সারা দেশের মার্কেট, বিপণি বিতান ও দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। তা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।বলা হয়, হাটবাজার, দোকান-পাটে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকান-পাট এবং শপিংমলগুলো আবশ্যিকভাবে বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও মানুষের জীবিকার তাগিদে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ইতোমধ্যেই রমজান মাসে মার্কেট ও দোকান খোলা রেখে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ট্রেনিং সম্পন্ন করেছি। যদিও তা সত্ত্বেও শতভাগ দোকান মালিক, কর্মচারি ও ক্রেতাসাধারণকে মাস্ক পরানো সম্ভব হয়নি।অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শুধুমাত্র মাস্ক ব্যবহার করলে করোনা সংক্রমণ ৮০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এ অবস্থায় সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরের দোকান মালিক সমিতি ও মার্কেট কমিটিকে অনুরোধ করা যাচ্ছে, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে, বিশেষ করে মাস্ক না পরা ও যথাযথ শারীরিক দূরত্ব মানা না হলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আগে জীবন পরে জীবিকা।