এপ্রিল ২১, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জেলার সংবাদ ঢাকা

ঈদে নৌপথে ঢাকা ছাড়বে ৩০ লাখ যাত্রী: জাতীয় কমিটি

পদ্মা সেতু চালুর পর নৌপথে বৃহত্তর বরিশালমুখী যাত্রী কমলেও আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন। তাদের মধ্যে তিন লাখ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর হয়ে যাবেন।

বাকি ২৭ লাখ যাবেন সদরঘাট টার্মিনালসহ ঢাকা নদীবন্দরের বিভিন্ন ঘাট হয়ে। তাই এবারও সদরঘাটে অস্বাভাবিক চাপ পড়বে। বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

এতে বলা হয়, ঈদে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চল ছেড়ে যায়। তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ (৩০ লাখ) যায় নৌপথে।

এর প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের যাত্রী। ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হবে ২৭ জুন। তবে ঈদের আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ২২ জুন থেকে কার্যত ঘরমুখি জনস্রোত শুরু হবে।

তবে শিক্ষার্থী ও গৃহবধূসহ প্রায় ১৫ শতাংশ (৪ লাখ ৫০ হাজার) মানুষ ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ঢাকা ছেড়ে যান। ফলে ২২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন ২৮ জুন পর্যন্ত সাত দিনে ২৫ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী নৌপথে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন।

এর মধ্যে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চে যাবেন ২২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ। এই হিসেবে সদরঘাট থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৭ যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে লঞ্চে চড়বেন।

নৌযান স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাগজে-কলমে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে তীব্র নাব্যসংকট ও যাত্রী স্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।

বাকি ২৬টি নৌপথে প্রায় ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। ঈদের আগে লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৮০ টি হবে। এর মধ্যে ৯০টি লঞ্চ প্রতিদিন সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে সদরঘাটে আসবে ৯০টি।

নাগরিক সংগঠনটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রতিদিন ৯০ টি লঞ্চে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৭ যাত্রী বহন করা হলে একটি লঞ্চে গড়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ৬৪২ জন যাত্রী উঠবে।

কিন্তু কোনো লঞ্চেরই দুই হাজারের বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা নেই। অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও নিচে। এছাড়া ঈদের আগের তিনদিন ঘরমুখী জনস্রোত দেড়গুণ বেড়ে যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীচাপ সামাল দিতে অনেক লঞ্চে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করা হয়। এ সময় ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও যাত্রী তোলা হবে।

এছাড়া এবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে ভরা দুর্যোগ মৌসুমে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে নৌযাত্রায় বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।

জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে বিড়ম্বনামুক্ত নিরাপদ ঈদযাত্রার স্বার্থে সরকারি উদ্যোগে বিকল্প ব্যবস্থায় নৌযানের সংখ্যা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া টার্মিনালসহ নৌপথে সর্বোচ্চ নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

banglarmukh official

বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার শিশু, ভগ্নিপতি ও শ্বশুর আটক

banglarmukh official