জাতীয় সংসদের বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করা হলেও তিনি নীরব ছিলেন। কিন্তু তিনি জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন, এই দাবি করতেই চটে গেলেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। প্রতিবাদ করলেন। বললেন, নো। কখনো জাতীয় পার্টির এমপি বা সদস্য ছিলাম না।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সম্পূরক বাজেট আলোচনার সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহীত এ প্রতিবাদ করেন।
তিনি বলেন, আমি আগেও কয়েকবারই বলেছি, কিন্তু জাতীয় পার্টির সদস্যরা সেটা অস্বীকার করে যান। আজকেও অস্বীকার করেছেন। আমি আবারও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমি কোনো দিন জাতীয় পার্টির সদস্যও ছিলাম না। কোনো দিন জাতীয় পার্টির মন্ত্রীও ছিলাম না। অনেকবারই এটা বলেছিল।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, জেনারেল এরশাদ যখন সামরিক শাসক ছিলেন সেই সময় মন্ত্রী ছিলাম, জাতীয় পার্টির তখন জন্মও হয় নাই। জাতীয় পার্টি জন্ম হওয়ার আগে আমি সেই সরকার থেকে পদত্যাগ করে চলে যাই। কাজেই আমার অনুরোধ হবে ভবিষ্যতে যেন জাতীয় পার্টির সদস্যরা মনে রাখেন, যদি মনে না রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ক্ষুব্ধ অর্থমন্ত্রী আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন জাপা এমপিদের বিরুদ্ধে।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, জাতীয় পার্টি গঠনের পূর্বেই এরশাদ সাহেবের সামরিক শাসনের সময় অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত সাহেব বাজেট দিয়েছিলেন। উনি (অর্থমন্ত্রী) কখনো জাতীয় পার্টি করেননি। তবে আমি আশ্বস্থ করতে চাই, ভবিষ্যতে তার (অর্থমন্ত্রী) মতো জ্ঞানি, অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে জাতীয় পার্টি তাদের দলে স্থান দেবে না। এরজন্য (জাতীয় পার্টিও মন্ত্রী বলায়) আপনাকে (অর্থমন্ত্রী) আদালতে যেতে হবে না। কিন্তু আপনি ব্যাংক ডাকাতদের যে প্রটেকশন দিয়েছেন তার জন্য আদালতে যেতে হবে।
পরে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন বলেন, আমি তাকে (অর্থমন্ত্রী) জাতীয় পার্টির আমলের মন্ত্রী কথাটি বলিনি। তিনি খুবই শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, কিন্তু সংসদে আমরা কিন্তু সহকর্মী। অর্থমন্ত্রী বয়স্ক হলেও অন্য সংসদ সদস্যকে এভাবে ধমকানো তার সঠিক হয়নি।