বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৪৮ দশমিক ৩ কোটি মার্কিন ডলার। এসব দেশের সংখ্যা প্রায় ১০০টি। বাণিজ্য ঘাটতি থাকা উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- চীন, ভারত, কোরিয়া রিপাবলিকান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও কুয়েত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সংসদে লিয়াকত হোসেন খোকার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি
সংরক্ষিত আসনের এমপি বেগম হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ হাজার ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি হয়েছে। আমদানি হওয়া উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে- কাপড়, হিমায়িত মাছ, চামড়াজাত পণ্য, মেশিনারিজ, প্লাস্টিক, রাবার, সবজিজাত পণ্য, সুগন্ধি চাল, গোলাপ ফুল, বেবি ফুড, মসলা, চিপস ও খেজুর।
সংশ্লিষ্ট অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৭৩৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। মন্ত্রী বলেন, ভারত ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হয়। সে কারণে দেশ দুটির পণ্য এখানের বাজারে থাকাটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্ডার হাট রয়েছে ১৬টি।
৩৮টি দেশে জিএসপি সুবিধা
মো. মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৮টি দেশে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে ইউরোপিয়ানভুক্ত ২৮টি এবং অন্য দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তুরস্ক, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও চিলি।
জিএসপি সুবিধার আওতায় রুলস অব অরজিন শিথিলসহ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করে।