মাধ্যমিক স্তরে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ১৭ কোটি ১৯ লাখ কোটি বই ছাপাচ্ছে সরকার। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ৩২০ লটে এসব বই সরবরাহের কাজ পেয়েছে দেশীয় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (২৬ জুন) কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ইবতেদায়ী, দাখিল, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যামিক এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) এবং কারিগরি (ট্রেড বই) স্তরের বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাধাই ও সরবরাহে ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১৭ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৩৮ কপি বই ছাপাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। এতে ব্যয় হবে ৪৩৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ৩২০ লটে এসব বই সরবরাহের জন্য দেশীয় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নাসিমা বেগম বলেন, ঢাকা ওয়াসার ‘পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ (ফেজ-১) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের খরচ বৃদ্ধির একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে কমিটি। এতে কাজে আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তিন কোটি ৮৮ লাখ টাকা বেড়ে বর্তমানে এর খরচ দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
তিনি জানান, সাভারের ভাকুর্তায় গভীর নলকূপ নির্মাণ প্রথমপর্ব শীর্ষক প্রকল্পের জন্য কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান হোন্ডো রোটেন কোম্পনির সঙ্গে সরকারের চুক্তিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। তবে বর্তমানে এটির ব্যয় ২১ কোটি ১২ লাখ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৪ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।