পবিত্র রমযান মাসে রোযা রেখে শাওয়ালের প্রথম দিন বিশ্বের মুসলিমরা ব্যস্ত খুশির আমেজে ঈদের নামাজ আদায় করতে। তারও আগে ঈদ উপলক্ষে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য হরেক রকমের কেনাকাটা করতে ব্যস্ততার যেন শেষ নেই।
যারা পরিবার ছেড়ে দেশের ভেতরেই অন্য কোনো শহর বা লোকালয়ের কর্মস্থলে থাকতেন, তাদের বেশিরভাগই বাড়ি ফিরেছেন। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরেছেন দেশের বাইরে থাকা বহু মানুষ।
তবে শিশুদের কাছে ঈদের আমেজটাই আলাদা। ঈদের নামাজের বাইরে বড়রা আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার মতো তেমন কিছু না থাকলেও শিশুদের কাছে ঈদ মানেই উৎসবের ষোল আনা।
তবে সেই সময়েও সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব শহরে যেন আনন্দের লেশ মাত্র নেই। চারিদিকে বারুদের গন্ধ। অব্যাহর রয়েছে সরকারি বাহিনীর অভিযান।
ঈদ উপলক্ষে এনজিওর পাশাপাশি সরকারিভাবেও শিশুদের আনন্দ দেওয়ার স্বল্পমাত্রায় কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। শিশুদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় খেলনা, বেলুনসহ জামাকাপড়।
এতে কিছুটা হলেও একেবারে কমবয়সীরা ক্ষণিকের জন্য খুশি হয়েছে। তবে যাদের জ্ঞান-বুদ্ধি একটু করে হয়েছে, অন্তত পরিবারের কথা মনে; তারা পড়ে গেছে আরো বেকায়দায়। খুশির এই দিনে সে কারণে অনেক শিশুই গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেও চোখের জল লুকিয়ে রাখতে পারেনি।
এই শিশুদের কারো বাবা মারা গেছে, কেউ মাকে হারিয়েছে, কারো বোন নিহত হয়েছে তো কারো আবার পুরো পরিবারই না ফেরার দেশে চলে গেছে। আর শিশুগুলো হয়ে গেছে এতিম।
বেঁচে থাকার জন্য খাবার জোগাড় করতেই যাদের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে, ঈদ তাদের কাছে আলাদা করে খুশি বয়ে নিয়ে আসে না। একই অবস্থা গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদেরও। সেখানেও ঈদ এসেছে। তবে হাসি, আনন্দ, খুশি ফিরিয়ে দিতে পারেনি তাদের।