অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাজেটে নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তিনি জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার এই পর্যন্ত আহরিত হয়েছে (মে, ২০১৯ পর্যন্ত) ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৮ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৬৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শনিবারের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরীর (রংপুর-২) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
আবার মো. শহীদুজ্জামান সরকারের (নওগাঁ-২) লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দেশে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা (সংশোধিত)। বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।
আহরণ হয়েছে দুই লাখ দুই হাজার তিনশ’ চৌদ্দ দশমিক নয় চার কোটি টাকা অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
সুদ মওকুফ হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ৮টি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এক বছরে (২০১৮ সালে) প্রায় এক হাজার দুইশো কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে।
সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে গত বছরে (জানুয়ারি ২০১৮-ডিসেম্বর ২০১৮) ছয় হাজার ১৬৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে এক হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এই ব্যাংকটি ২ হাজার ৮টি ঋণের বিপরীতে ৪৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।
আর বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কোনও সুদ মওকুফ করেনি। অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৯৬ লাখ, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ, জনতা ব্যাংক ২ হাজার ৪৭৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এক হাজার ৩৮০টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ এবং বেসিক ব্যাংক ১৯টি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।