চলমান বোরো মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আরও ২ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৬ টাকা দরে ধান সংগ্রহ করা হবে। মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবছর ধানের উৎপাদন অনেক বেশি হয়েছে। ফলে ধানের মূল্য একটু কমেছে। কৃষকের এ ক্ষতি পুষিয়ে নেবার জন্য আরো ২ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে সেই ধান মিলারদের নিকট দেয়া হবে চালে রুপান্তর করার জন্য। পাশাপাশি আমরা এ সমস্যা সমাধানের স্থায়ী পথ খুঁজছি। তিনি বলেন, সারা দেশে ২০০টি জায়গাই ১০ লক্ষ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্যাডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। এক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানা কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতো। এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উত্তরবঙ্গে এখন আর মঙ্গা নেই। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন কিভাবে ধানের দাম বাড়ানো যায়। তিনি আমাদের ২ টি পরামর্শ দিয়েছেন। ১) আরও বেশি ধান কেনার ২) কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে মিলারদের মাধ্যমে চাল করা।
তিনি বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজ প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য ৩ হাজার পিচ আদ্রতা পরিমাপ করার মিটার কেনার অর্ডার দেয়া হয়েছে। এ সমস্ত মিটার ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণ করা হবে। যাতে করে কৃষকরা তাদের ধানের আদ্রতা নিজ গ্রামেই পরিমাপ করতে পারে।
উল্লেখ্য, চলমান বোরো মৌসুমে ১০ লক্ষ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, দেড় লক্ষ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং দেড় লক্ষ মেট্রিক টন ধান (এক লক্ষ মেট্রিক টন চালের সমপরিমাণ) সংগ্রহ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ৩৬ টাকা দরে সেদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা দরে আতপ চাল এবং ২৬ টাকা দরে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। গম সংগ্রহ মূল্য ২৮ টাকা। ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত। গম সংগ্রহ করা হবে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত। আজ নতুন করে আরও ২ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্য সচিব শাহবুদ্দিন আহমদসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা।