বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ৩৩৮ রানের বিশাল টার্গেটের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে ভারত। দলীয় ৮ রানে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই সাজঘরে ফিরে গেছেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। ৩ ওভারের তৃতীয় বলে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে তাকে সাজঘরে পাঠান ক্রিক ওকস। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ রান। ব্যাট হাতে ক্রিজে রয়েছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি।
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করে জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান তোলে ইংল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশদের দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ১৬০ রানের জুটি গড়েন তারা। রান তোলার গতিও ছিল ভালো। জেসন রয় ৫৭ বলে ৬৬ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন। তার ইনিংসটি ৭টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো ছিল। এই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৬তম হাফসেঞ্চুরি।
তবে অন্যপ্রান্তে ঠিকই রানের চাকা সচল রাখেন বেয়ারস্টো। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪৫ রান। দলীয় ২০৫ রানে বেয়ারস্টো ১১১ রান করে মোহাম্মদ শামির বলে রিশভ পান্তের হাতে ধরা পড়েন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পথে হাঁকিয়েছেন ১০টি চার ও ৬টি ছক্কা।
অধিনায়ক ইয়ন মরগান অবশ্য ব্যক্তিগত এক রান করে শামির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। চতুর্থ উইকেটে ভালো জুটি গড়েন বেন স্টেকস ও জো রুট। ৭০ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। রুট ৪৪ রান করে দলীয় ২৭৭ রানে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিলে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন শামি।
অর্ধশতক তুলে নেন স্টোকস। জস বাটলারের ইনিংটাকে বড় করতে দেননি শামি। ২০ রান করা বাটলারের উইকেটও তুলে নেন তিনি। স্কোরবোর্ডে রান ততক্ষণে তিনশ’ ছাড়িয়েছে।
এরপর ক্রিস ওকসের (১) উইকেট তুলে নিয়ে পাঁচ উইকেটের কোটা পূরণ করেন শামি। স্টোকস ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। ৫৪ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে জসপ্রিত বুমরাহ’র বলে আউট হন এই বাঁহাতি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে শামি ৫টি, যাদব ও বুমরাহ ১টি করে উইকেট নেন।