কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহর ছাত্র লীগের ৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ও পৌরশহর ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হাসানুজ্জামান অমি গাজী তার পিতা ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য কবির গাজীকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আজ রবিবার শেষ বিকেলে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অমি গাজী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার পিতা কবির গাজী, মা খাদিজা আক্তার রিপা, ভাই-বোনসহ ঈদের পরবর্তী আনন্দ ভ্রমনে মাইক্রকরে কুয়াকাটা যাওয়ার পথে শেখ কামাল সেতুতে ওঠার পথে কলাপাড়া থানার পুলিশ চেক পোষ্ট বসিয়ে তাদের গাড়ী তল্লাশী করে। গাড়ীতে কোন কিছু না পেয়ে পরিবারের সকলকে থানায় নিয়ে আসে।
এরপর ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমুর ইন্দোনে মাদক মামলা দিয়ে পুলিশ আমার পিতা-মাতাকে কোর্টে চালান করে। বর্তমানে তারা পটুয়াখালী কারাগারে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার পিতা কবির গাজী টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য। আসন্ন টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। তার পিতার জনপ্রিয়তা দেখে বর্তমান টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান একাদিক অপকর্মের মূলহোতা তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী সহ তাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
আমি কলাপাড়া পৌরশহর ছাত্র লীগের সভাপতি প্রার্থী, সম্মেলন অতি নিকটে আমার ও আমার পরিবারকে হয়রানী করতে ওই প্রভাবশালী নেতা তার ক্ষমতার বলে আমার পিতাকে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করেছে। বর্তমানে আমার পিতা জেলখানায় অসুস্থ্য অবস্থায় রয়েছে।
পিতা-মাতার নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি। অত্যাচার থেকে বাঁচতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়াম্যান ও আওয়ামীলীগ সিনিয়ার নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু সাংবাদিকদেও জানন, ইউপি সদস্যকে থানায় আনার খবর পেয়ে আমি থানায় গিয়ে শুনি সে মাদক সহ ধরা পড়েছে। তাই আমার করার কিছু ছিলো না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।