শূন্য থেকে শুরু করেছিল তলাবিহীন খ্যাতি অর্জন কারী এই বাংলাদেশ।খাদ্য,বস্র, বাসস্থান,চিকিত্সা ও শিক্ষার অভাব ছিল যে দেশে। দূর্ভীক্ষের সময় যে দেশকে সাহায্য করতে রাজি হয়নি পৃথিবীর শক্তিশালী , সমৃদ্ধশালী দেশগুলি। কারন ছিল এই বাংলাদেশ কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারবেনা।এই বাংলাদেশের মানুষগুলো কখনওই নাকি আধুনিক জগতে পদার্পণ করতে পারবেনা। না খেয়ে মারা যাবে এই দেশের মানুষ। পৃথিবীর ধসে যাওয়া, অশিক্ষিত,অসহায়,বঞ্চিত দেশ গুলির একটি হবে বাংলাদেশ। তাই এই দেশকে সহযোগিতা করতে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিল পৃথিবীর শক্তিশালী দেশ সমূহ।
বাহিরের দেশ গুলি যেমন সাহায্য করতে চাইনি,তেমনি মাথা তুলে দাড়িয়ে ছিল দেশ মাতার কিছু কুলাঙ্গার সন্তান। যারা পদে পদে এই দেশের ক্ষতি চেয়েছে। ধ্বংস করতে চেয়েছে নিজের মায়ের সমতূল্য দেশ কে। যুদ্ধের পরেও পদে পদে যুদ্ধ করতে হয়েছে আমাদের। ভিনদেশিদের সাথে যুদ্ধ, কুলাঙ্গারদের সাথে যুদ্ধ,অর্থনৈতিক যুদ্ধ,বৈষম্যের যুদ্ধ, প্রতিপত্তির যুদ্ধ, খাদ্যের জন্য যুদ্ধ,বস্রের জন্য যুদ্ধ, চিকিত্সার জন্য যুদ্ধ। পদে পদে যুদ্ধ করেছি। যুদ্ধের ফলাফল কি?
আজ শিক্ষিত জাতি বাংলাদেশি। খাদ্য রপ্তানি কারক দেশ বাংলাদেশ। ঔষধ রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। পোশাক রপ্তানির শীর্ষ দেশ সমূহের একটি বাংলাদেশ। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ। শুধু নিজ দেশ রক্ষার জন্য নয়, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ নিজে আশ্রয় হীনতায় ভোগেনা। বাংলাদেশ আজ লক্ষ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দিয়ে ভূয়সী প্রশংসার অধিকারী।
বাংলাদেশের সোনার ছেলেদের যেমন অন্য দেশ আজ চাকরি দিতে পেরে আনন্দিত হয়, তেমনি লক্ষ লক্ষ অন্য দেশের নাগরিকরা আজ বাংলাদেশে চাকরি করে। বাংলাদেশের কলেজে আজ বিদেশিরা শিক্ষা নেয়। বাংলাদেশ আজ নিজ গন্ডি পেরিয়ে মহাকাশে স্থান করে নিয়েছে।
যারা বাংলাদেশকে তলা বিহীন ঝুড়ি বলেছিল, তারাই আজ বাংলাদেশকে সম্মান করে।এদেশের তৈরি পোশাক আজ তাদের শরীরে। স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছরে যে দেশ পৃথিবীর মানচিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়েছে। স্বাধীনতার একশত বছরে সে দেশ হবে পৃথিবীর একমাত্র মডেল।
আমি গর্বিত, আমি বাংলাদেশি।
লেখক:
শেখ সুমন