অবশেষে সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালককে বদলি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে নিয়ে নানারকম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে, নকল এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে কেলেঙ্কারি, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার তদন্ত না করে বরং আত্মপক্ষ সমর্থন করার চেষ্টা করেছে। যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বললেন যে, মহানগর হাসপাতালে যেটা এন-৯৫ মাস্কের প্যাকেট ছিল, তার ভেতরে আসলে এন-৯৫ মাস্ক দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছিল অন্য মাস্ক। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে অন্তত তিনদিন বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে চান। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তারা চ্যালেঞ্জ করতে যান।
এমন পরিস্থিতির মুখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গড়লেও সেই কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। ধারণা করা হচ্ছিল যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সিন্ডিকেট জেএমআই গ্রুপের হয়ে কাজ করছে এবং তারা যেন ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে সেজন্যই সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালককে বদলি করার মধ্য দিয়ে সরকার অন্তত একটি বার্তা দিল যে, এই বিষয়টি সরকার প্রধানের নজরদারির মধ্যে আছে।