31 C
Dhaka
এপ্রিল ২৯, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

নামাজ ও সাদকায় যে গুরুত্ব দিয়েছেন বিশ্বনবি

নামাজ ও সাদকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক জ্ঞানবান ও প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের জন্য নামাজ ফরজ করেছেন। আবার সম্পদশালীরসহ সবাইকে আল্লাহর পথে খরচ তথা সাদকার কথা বলেছেন।

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ ও সাদকার আগে কিছু কাজ রয়েছে, এগুলো যথাযথ পালন না করলে তা কবুল হবে না। বিশ্বনবি ছোট্ট একটি হাদিসের এ দুই ইবাদতের গুরত্ব তুলে ধরেছেন-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। আর খেয়ানতের মাল দ্বারা সাদকা কবুল হয় না।’ (তিরমিজি)

মুমিন মুসলমানের জন্য উল্লেখিত হাদিসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ হাদিসটিতে দু’টি বিষয়ের সুস্পষ্ট সমাধান দেয়া হয়েছে।

নামাজের জন্য যেমন পবিত্রতা তথা ওজু আবশ্যক। ওজু ছাড়া নামাজ পড়া মারাত্মক শাস্তি ও গোনাহের কাজ। অপবিত্রতা বুঝে ওজু ও গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হয়েই নামাজ আদায় করা জরুরি। তবেই তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

আবার অন্যায় কাজের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে দান-সাদকা করাও অপরাধ। কেননা অসদুপায়ে আয়-রোজগার করা অপরাধ। আর দান-সাদকায় অবৈধ অর্থ সাওয়াবের নিয়ে দেয়াও অপরাধ। সুতরাং দান-সাদকা কবুলে অর্থ হতে হবে হালাল।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদিসে ঈমান গ্রহণের পর শ্রেষ্ঠ ও প্রধান ইবাদত নামাজ ও অন্যতম ইবাদত দান-সাদকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন।

সুতরাং নামাজের জন্য শরীর, পোশাক, নামাজের স্থান পবিত্র হওয়া জরুরি। শুধু তাই নয়, নামাজ কবুলে হালাল আয়ে অর্জিত সম্পদ দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করাও আবশ্যক। কেননা ইবাদত কবুলের জন্য হালাল আয়-রোজগারকে শর্ত করা হয়েছে।

অন্য দিকে দান-সাদকায় আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় মানুষের যাবতীয় বিপদ-আপদ এমন কি কঠিন রোগ থেকেও মুক্তি দান করেন। যে রোগের সমাধান কোনো চিকিৎসা বিজ্ঞানে নেই, সাদকার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা সে রোগেরও শেফা দান করেন। তাই কষ্টার্জিত আয় থেকে দান-সাদকা করতে হবে।

আল্লাহর কাছে কল্যাণের জন্য বেশি বেশি এ দোয়া করতে হবে-
اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْألُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা; ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আ’ফাফা; ওয়াল গেনা।

অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে হেদায়েত কামনা করি এবং আপনার ভয় তথা পরহেজগারি কামনা করি এবং আপনার কাছে সুস্থতা তথা নৈতিক পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ তথা সামর্থ্য কামনা করি। (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমদ)

মুমিন মুসলমানের উচিত হাদিসের ছোট্ট নির্দেশনা মেনে নামাজ আদায় করা এবং আল্লাহর পথে সাদকা করা। কেননা ‘অল্প আমলই নাজাতের রয়েছে’ বলেছিন বিশ্বনবি। আর তাই হোক মুমিন মুসলমানের প্রচেষ্টা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজ ও সাদকায় হাদিসের এ ছোট্ট উপদেশ গ্রহণ করার তাওফিক দান পবিত্রতার সঙ্গে নামাজ আদায় এবং হালাল উপার্জন থেকে দান-সাদকা করার তাওফিক দান করুন।

আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official