ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা শওকত হোসেন অসামাজিক কার্যকলাপের সময় এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। এ সময় তাদের ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে ওই জামায়াত নেতার তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালা মেরে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা জামায়াতের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শওকত হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে তারাবির নামাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে মোটরসাইকেলে এক বিধবা নারীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী লোহারটেক গ্রামের জয়নাল সর্দারের বাড়িতে যান। ওই বাড়ির একটি ঘরে তারা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। এ সময় পাশের বাড়ির এক গৃহকর্ত্রী বিষয়টি দেখতে পেয়ে শওকতের স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে তার স্বামীর অপকর্মের কথা জানান। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শওকতের স্ত্রী রূপসানা আক্তার ও তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা বেগম ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জামায়াত নেতা পালিয়ে যান।
শুক্রবার দুপুরে শওকতের স্ত্রী রূপসানা তার স্বামীর বিভিন্ন কুকীর্তি ও একাধিক পরকীয়ার ঘটনা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদর বাজারের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হাসান ট্রেডার্স নামে জামায়াত নেতার রড, সিমেন্ট ও ঢেউটিনের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন চরভদ্রাসন সদর ইউপির চেয়ারম্যান আজাদ খান।
জামায়াত নেতার বড় ভাই শেখ আবুল কালাম জানান, শওকতের এ রকম পরকীয়া সম্পর্কের বহু ঘটনা তাদের সামাল দিতে হয়েছে। তার একের পর এক অপকর্মে তারা অতিষ্ঠ।
রূপসানা আক্তার বলেন, শওকত ওই বাড়ির মালিক জয়নাল সর্দারকে মাসিক টাকা দিয়ে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছিল।