ফুটবল তারকা মানেই নারীর স্বপ্নের পুরুষ। তারা শুধু খেলার মাঠ নয়, মাতান পরনারীর মনও। মাঠের মতো নারী হৃদয়েও তাদের ঝড় তোলার গতি কিন্তু খুব একটা কম নয়। তাদের এমন গল্প নতুন নয়। এমন বিতর্ক সেই আদিকাল থেকে। সময়ে সময়ে কম বেশি প্রায় সব জনপ্রিয় ফুটবল তারকা যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। ফুটবল বিশ্বে যৌন কেলেঙ্কারির সংখ্যা কম নয়। সেগুলোর কয়েকটি ঘটনা ও তাঁর সঙ্গে জড়িত তারকা ফুটলারদের গল্প বলা হল:
ডিয়াগো ম্যারাডোনা
নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ম্যারাডোনা বারবার শিরোনাম হয়েছেন। ২০ বছরের সংসার ভেঙ্গে ২০০৪ সালে ক্লদিয়ার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটে। এ সংসারে দুই মেয়ে আছে। এ তো গেল বিয়ের খবর। তাঁর গার্লফ্রেন্ডের সংখ্যা কম নয়। বিয়ের পরই ক্রিস্টিনা সিনাগ্রা নামে এক ইতালীয় তরুণীর প্রেমে পড়েন তিনি। সিনাগ্রার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তবে সিনাগ্রাকে প্রথমে স্বীকার করেনি। ২০১০ সালে ম্যারাডোনার জীবনে আসে ভেরোনিকা ওজেদা নামে এক আর্জেন্টাইন মডেল। এখানে জন্ম দেয়া ছেলে নিয়েও তৈরি হয় যথেষ্ঠ বিতর্ক। ভেরোনিকার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার আগেই আসে রোসিও ওলিভা নামে আরেক নারী। ম্যারাডোনার অর্ধেক বয়সেরও কম বয়সী ওলিভার সঙ্গে প্রেম মিডিয়ার সামনে প্রকাশ পায় ২০১০ সালে। সে সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি। ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনার এখনো রয়েছে একাধিক গার্লফ্রেন্ড। এছাড়া নানা সময়ে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ তো আছেই।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ঘন ঘন প্রেমিকা বদলানোয় ওস্তাদ এই পর্তুগিজ তারকা। এক সম্পর্ক ভাঙার পর আরেক সম্পর্কে জড়াতে সময় লাগে না। রাশিয়ান সুন্দরী ইরিনা শায়াকের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার কয়েক দিন পরই শোনা যায়, সিআর-সেভেন স্প্যানিশ টিভি সাংবাদিক লুসিয়া ভিয়ালনের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া সেরে ফেলেছেন। নিজের চেয়ে চার বছরের এক নারীর সঙ্গে প্রেমটাও চলে কয়েকটা দিন। কোনো সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আবার কখনো নিঃসঙ্গও থাকতে হয়নি রোনালদোকে। এভাবেই চার সন্তানের বাবা এই পর্তুগিজ তারকা। বান্ধবী বদল নিয়মিতই চলে।
রোনালদো দ্যা ফেনোমেনা।
ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। ঘরে সুন্দরী বান্ধবী থাকা সত্বেও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন এই তারকা। ২০০৮ সালে রিও ডি জেনিরোতে নিজের হোটেল কক্ষে তিনজন পতিতা নিয়ে থাকার জন্য বেশ সমালোচিত হন এই ফুটবল কিংবদন্তি।
গ্যারিঞ্চা
ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার গারিঞ্চার। ১৯৫৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের উচ্ছ্বাসের পর যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিশ্বকাপ জয়ের একবছর পর সুইডেনে অবকাশযাপনে গিয়েছিল এই কিংবদন্তি ফুটবলার। সেখানে এক স্থানীয় নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই মহিলা অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
অ্যশলে কোল
মাঠে দূর্দান্ত পারফরম্যান্সে সুনাম কুড়ালেও মাঠের বাইরে যৌন কেলেঙ্কারির জন্যও তাঁর সমালোচনা ঝড় ওঠে। ঘরে পপ স্টার সুন্দরী বউ থাকলেও তা যথেষ্ট ছিল না ইংল্যান্ডের এই ডিফেন্ডার। এক মডেলের সঙ্গে নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়ায় বেশ সমালোচিত হন অ্যশলে কোল।
মার্টিন এডওয়ার্ডস
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মার্টিন এডয়ার্ডস। এক হোটেলে যৌন হয়রানির স্বীকার হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে এক মহিলা। এই ঘটনার পর তার যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে ইংলিশ গণমাধ্যমে সমালোচনার বান বয়ে যায়।
হোসে আলতাফিনি
ইতালির বিখ্যাত ফুটবলার হোসে আলতাফিনি। নাপোলিতে খেলার সময় সতীর্থ বারিসনের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এই স্ট্রাইকার। তার এই যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা তৎকালীন সময়ে ইতালিয়ান গনমাধ্যমে বেশ ঝড় উঠেছিল।
ওয়েন রুনি
স্ত্রী কলিন অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় যৌনকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন এমন অভিযোগ এনেছিল ব্রিটিশ মিডিয়া। জেনি থমসন নামের ২১ বছর বয়সী এক যৌনকর্মী মিডিয়ার কাছে এমন অভিযোগ করেন। টানা বেশ কয়েক মাস একটি পাঁচতারকা হোটেলে তাদের সম্পর্ক চলেছে। জেনির দাবি, স্ত্রী সন্তানসম্ভবা থাকার পরও রুনি তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে কোনো রকম দ্বিধা-দ্বন্ধে ভোগেননি।
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে ফ্রান্স জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
রোনালদিনহোর ক্যারিয়ারটা তো শেষ করে দিয়েছে এই নারী কেলেঙ্কারি। শেষমেষ একসঙ্গে দুই নারীকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্রাজিলের ফুটবল লিজেন্ড রোনালদিনহো। প্রিসিলা কোয়েলহো ও বিয়াত্রিজ সুজা নামে এই দুইজনের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
নেইমারও পিছিয়ে নেই। একাধিক গার্লফ্রেন্ড রয়েছে তাঁর।