তানজিম হোসাইন রাকিব: বরিশালে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে থ্রি-হুইলার গুলোতে মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা বা স্বাস্থ্যবিধি। এ সব থ্রি-হুইলার এর যাত্রীরা সামজিক দূরত্ব বজায় না মেনে যার যার ইচ্ছে মতো ছিট নিয়ে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছেন। থ্রি-হুইলার গুলোতে নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থাও। এমনকি যাত্রী চলাচলে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনেরও নেই কোন নজরদারি কিংবা তদারকি। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে চরম ঝুঁকিতে থাকলেও সকলে যেন নিরব-নিশ্চুপ।
গতকাল সোম ও আজ মঙ্গলবার দু’দিন সরেজমিনে রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, সদর রোড, লঞ্চঘাট,নতুন বাজার, বটতলা, চৌমাথা, জেল খানার মোড়, সাগরদি সহ নগরীর বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার এমন ভয়াবহ চিত্র ফুটে ওঠে।
জানা যায়, একটানা ৬৫ দিন বন্ধ থাকার গত ৩১ মে থেকে সারাদেশে গনপরিবহন সহ সকল ধরনের যোগাযোগ সীমিত পরিসরে চলাচল শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে, সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল পরিবহন চলাচলে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও তার কোনটাই মানা হচ্ছে না। বরং সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে থ্রি-হুিইলার ডাইভাররা যাত্রী উঠাচ্ছেন এবং যাত্রীরা যার যার মতো গাদাগাদি করে ছিট নিয়ে বসে আছেন। গত ৩১ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ১০ দিন একই চিত্র ছিল বলে নিশ্চিত করেছে রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, সদর রোড, লঞ্চঘাট,নতুন বাজার, বটতলা, চৌমাথা, জেল খানার মোড়, সাগরদি সহ নগরীর বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন হকার ও যাত্রীরা।
স্থানীয় হকার ও যাত্রীরা জানায়, প্রথম ৩/৪ দিন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা, এবং র্যাব-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারি ও তদারকি ছিলো। কিন্তু ৫/৬ দিন ধরে কারও কোন নজরদারি বা তদারকি নেই। এর ফলে স্বাস্থবিধির তোয়াক্কা না করে থ্রি-হুিইলার ডাইভাররা তাদের খেলাল-খুশি মত যাত্রী উঠাচ্ছেন এবং যাত্রীরাও তাদের মত করে যেখানে-সেখানে ছিট নিয়ে গাদাগাদি করে বসে পড়ছেন।