বরিশাল সদর উপজেলার ১০ চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের আলহাজ্ব মজিদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রকে বেধম মারধর ও ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)। জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের একটি পরিক্ষা ছিলো পরিক্ষার সিট প্লান নিয়ে স্যার ছাত্র’র মাঝে বাক বিতন্ডা হয়।
এক ছাত্রের সিটে অন্য একজনকে বসালে তাতে প্রতিবাদ জানায় ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র আশিক চৌকিদার। এর পরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাত্রকে অকাথ্য ভাষা গালাগাল করলে পরিক্ষা না দিয়ে খাতা নিয়ে বেড়িয়ে যায় আশিক। এসময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হালিম ক্লার্ক জাকিরকে দিয়ে ছাত্র আশিককে ডাকায়।
আশিক বিদ্যালয়ে গেলে প্রথমে মারধর করে পরে তাকে ঝাড়ু পেটা করে। এতে স্কুল ছাত্র অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে ঔষধ খাইয়ে কিছুক্ষন পরে জ্ঞান ফিরলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে মোবাইল ফোনে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান স্কুল ছাত্র’র পিতা স্বপন চৌকিদার। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা হায়দার এএসআই দিদারকে পাঠান।
এএসআই দিদার ঘটনার পুরো বিষয়টি বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন। পুলিশ যাওয়ার পরেই স্কুল ছাত্র আশিকের মাকে ঢাকা থেকে গ্রামে আনান স্কুল শিক্ষককের স্বজনরা। ঘটনাটি পুরো এলাকা জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠলে টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হালিম। এলাকাবাসী একাট্টা হয়ে হালিম মাষ্টারের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।
গতকাল সকাল ১০ টায় সাবেক মেম্বার রহমানের বাড়িতে বসে শালিশ মিমাংসার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা রফাদফায় হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেশের বাইরে থাকার করনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপান ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হালিম। বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রশিদ খান জানান, যদি শিক্ষক এমন কর্মকান্ড করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মোস্তফা হায়দার জানান, আমি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।