বরগুনার বামনায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেন্যুগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশালের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেয়া প্রশ্নব্যাংক থেকে পরীক্ষা গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলা সদরের সরকারি বামনা সারওয়ারজান পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ক্রয় করা প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় বামনা কেন্দ্রের অধীন হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভেন্যুতে বোর্ডের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এতে উপজেলার ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শুধু একটি বিদ্যালয়ে বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। বাকি ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ক্রয় করা প্রশ্নপত্র দিয়ে।
শনিবার (২২জুন) সকালে সরেজমিনে বামনা উপজেলার এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেন্যু সরকারি বামনা সারওয়ারজান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সপ্তম শ্রেণির গণিত ও অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষায় বোর্ডের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা না নিয়ে নিজেদের তৈরি প্রশ্নে পরীক্ষা নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল সূত্রে জানা গেছে- ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নব্যাংক থেকে ডাউনলোড করে সংগ্রহ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রতিটি কেন্দ্রের ভেন্যুগুলোর প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ১৬ জুন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড।
সেখানে নির্দেশনা দেয়া হয়, পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বোর্ডের ওয়েবসাইটে যেদিন যে পরীক্ষা তার প্রশ্নপত্র থাকবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত কোড নম্বর ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের প্রশ্নব্যাংক থেকে বোর্ডের প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে নেবেন। পরে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী নিজেদের ফটোকপি যন্ত্রে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষা নেবেন।
এ ব্যাপারে বামনা সারওয়ারজান মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এএসএম হারুন অর রশিদ বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ সমস্যা ও প্রিন্টারের কালি না থাকার জন্য বোর্ডের প্রশ্নপত্র ছাপানো সম্ভব হয়নি। ফলে আমরা নিজেরা প্রশ্ন তৈরি করে তা দিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছি।’