ঢাকা :বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে বিএনপি। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সরকারদলীয় আমলাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অহেতুক হয়রানি করে আসছে বিএনপি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কে বাধাগ্রস্ত করাই যেন তাদের পেশা এবং নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ,জাতীয় শ্রমিকলীগসহ অন্য অন্য ভ্রাতৃত্ব সংগঠনগুলো বিরুদ্ধেও নামে বেনামে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আছেন । এটা বিএনপির নতুন কৌশল কাটা দিয়ে কাটা তোলা।যাদের বিরুদ্ধে যে বিষয়ে অভিযোগ করা হয়।
তার সাথে তাদের সে বিষয়ে কোন সম্পর্ক নেই। তাই সুশীল সমাজ দাবি করেন এটা বিএনপির তথ্য সন্ত্রাস সারা অন্য কিছু নয়। অন্যদিকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে তারা বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালিন সময় হামলা মামলাসহ কারাগারে যেতে হয়েছে ।দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে এমন অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালালে বেরিয়ে আসে বিএমপির নব কৌশলের বাস্তব চিত্র।রাজউকের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে । আপন চাচাতো ভাই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আত্মীয়-স্বজন মিলে অভিযোগ করে বসে। পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার পাটিকেলবাড়ি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস সিকদার এর ছেলে শাকিল সিকদার ও তার জামাতা এ এম সাঈদ আল ইসলাম বাবু।
এরা সকলেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।যে পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় ।সেই পরিবারই হল।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির পরিবারের বিরুদ্ধে। ৭নং গুয়ারেখা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। একাধারে ছিলেন, জনপ্রতিনিধি গরিব অসহায় দুঃখী ও মেহনতী মানুষের ছিলেন আপনজন । বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুর রব সিকদার। তিনি ছিলেন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে পরিচিত ছিলেণ তিনি। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নপত্র দেন চিত্তরঞ্জন, সেখানে উল্লেখ করেন। মোঃ আব্দুর রব সিকদার একজন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। অথচ তারি পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে হয়রানি করছেন, বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বর্গ।
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রব শিকদারের সন্তান, বিএনপি চারদলীয় ঐক্যজোটের সময় হামলা মামলাসহ নানা প্রকার হয়রানির শিকার হন। অথচ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে নানা অভিযোগ। যে অভিযোগের ভিত্তি নেই। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের তিন মেয়ে দুই ছেলে।
বড় মেয়ের নাম, সেলিনা আক্তার বর্তমানে শিক্ষাগতার পেশায় জড়িত।তিনি পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মেজো মেয়ে রোজিনা আফরোজ (রেবু) তিনিও একজন শিক্ষিকা,রোঙ্গাকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকরি করেন। সেজো মেয়ে শিরিনা আক্তার (সেবু) তিনি একজন শিক্ষিকা। ভগিরাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকরি করেন।বড় ছেলে চাকরি করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর উত্তরা শাখার অথরাইজড অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট ছেলে হাসিবুর রহমান রাসেল, ৬৯ নং পাটিকেল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর একজন শিক্ষক।
পাটিকেলবাড়ি এলাকার স্বপন বেপারী জানান , মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে, যে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে , তা মানার মতন না। যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা তার আপন চাচাতো ভাই এলাকায় বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী বাড়িঘর দখল সহ নানা প্রকারের অপরাধের সাথে লিপ্ত থাকলে। শিক্ষিত পরিবারটি বাধা দিলেই বাদে বিভক্তি, এ কারোনেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ।
স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা, নাম না প্রকাশ করার শর্তে তিনি জানান, অত্র পার্টিকেলবাড়ি এলাকায় এত বড় শিক্ষিত এবং আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ পরিবার আর নেই। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদার শুধু আওয়ামী লীগের প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন না, অত্র অঞ্চলের সকল মানুষের প্রিয় ব্যক্তি হিসাবে ছিলেন।
তার মৃত্যুরখবর শুনে হাজার, হাজার মানুষ ছুটে আসে, তার জানাযায়। তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সত্য নয়। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগকারী চাচাতো ভাই আব্দুল কুদ্দুস শিকদার জানান, যদি তিনি দুর্নীতি না করেন তাহলে অসহায় গরীব দুখী মানুষদের কিভাবে সহযোগিতা করেন।
আমি বিএনপি করি এটা সত্য, তাই বলে কি অভিযোগ করতে পারবো না। তারা সবাই চাকুরীজীবী তাদের আবার কেন নির্বাচন করতে হবে। আমি বেঁচে থাকতে তাদেরকে আর নির্বাচনে নির্বাচিত হাতে দেবো না। তাতে আমার যেথায় যেথায় অভিযোগ করতে হয়। আমি অভিযোগ করেই যাবো, বলে ফোনটি কেটে দেন। আরেক অভিযোগকারী কুদ্দুস শিকদারের জামাই এ এম সাঈদ আল ইসলাম (বাবু) জানান, আমার শ্বশুর বাবা অভিযোগ করতে বলেছে, বিদায় আমি অভিযোগ দিয়েছি। এবং ফেসবুক এ স্ট্যাটাস দিয়েছি, এছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না।
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার কারণে উপনির্বাচনে আমার পুত্রবধূ নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায়, বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেছে, কোন একটি চক্র। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে তিনি জানান, বিএনপি তথ্য সন্ত্রাস সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি বর্গের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছরিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো। উন্নয়নের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিয়ে বাধাগ্রস্ত করা। অহেতুক কর্মকর্তাদের বিপদে ফেলা।