ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে প্রতিবারের মতো এবারও বিড়ি-সিগারেটের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ শলাকার নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, এর সঙ্গে সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে নিম্নস্তরের মূল্য ২৭ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫২ শতাংশ আছে। বর্ধিত করারোপের ফলে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম প্রতি শলাকা ৫০ পয়সা বাড়তে পারে।
মধ্যস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৮ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে উচ্চস্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়নি। ৬৫ শতাংশে অপরিবর্তিত আছে। তবে মূল্য বাড়ানো হয়েছে। ১০ শলাকার দাম ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে ফিল্টারযুক্ত বিড়ির দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে ফিল্টারবিহীন বিড়ির দাম। ১০ শলাকার ফিল্টারযুক্ত বিড়ির মূল্য ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ টাকা এবং ২০ শলাকার বিড়ি ১২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ আগামীতে ফিল্টারযুক্ত বিড়ি বেশি দাম দিয়ে কিনে খেতে হবে ধূমপায়ীদের।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের মতো পানের স্বাদবর্ধক জর্দার মূল্য বেঁধে দেয়া হয়েছে। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ২৫ টাকা বেঁধে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ আগামীতে এ দামের নিচে আর জর্দা পাওয়া যাবে না। গুলের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ১০ গ্রাম ওজনের গুল কিনতে হবে ২৫ টাকায়।