নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। তিন থেকে চার দিন ধরে বাড়তি এসব পণ্যের দাম। আর অনেকটাই স্থির আছে মরিচ ও হলুদের দাম।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতি কেজিতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ টাকা করে। আর দেশি পেঁয়াজের দাম প্রায় একইরকম আছে।
ভারতীয় পেঁয়াজের আড়তদার মো. রাজ আলী জানান, তিন দিন আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২৪ টাকা (১২০ টাকা পাল্লা) বিক্রি করেছেন। এখন সেটা তারা বিক্রি করছেন ৩০ টাকা (১৫০ টাকা পাল্লা) প্রতিকেজি। প্রতিকেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬ টাকা। রোজা ও ঈদের পর এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ল। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলেও জানান রাজ আলী।
দেশি পেঁয়াজের আড়তদার মো. আসার উদ্দিন জানান, তিনি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ২২ থেকে ২৪ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি করছেন। আগে প্রায় এরকম দামেই দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।
রসুন, হলুদ, আদা, মরিচসহ বেশকিছু পণ্য পাইকারি বিক্রি করেন সাগর। তিনি জানান, ঈদের পর থেকেই বাড়তি ছিল চীনা আদার দাম। তিন থেকে চার দিন ধরে বেড়েছে দেশি রসুন, চীনা রসুন এবং দেশি আদার দাম। মরিচ আর হলুদের দাম প্রায় একই আছে। তিনি জানান, রোজার সময় চীনা আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ঈদের পর থেকেই এই আদার দাম বেড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা হয়ে যায়। এখন তারা বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। তিন থেকে চার দিন আগেও দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন, এখন সেটা তারা বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
সাগর আরও জানান, তিন থেকে চার দিন আগে দেশি রসুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছেন, সেই রসুন এখন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। তিন থেকে চার দিন আগে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি করেছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, এখন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অর্থাৎ চীনা রসুনেও কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা।
মরিচ ও হলুদে দামের তারতাম্য খুব একটা ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, শুকনা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। হলুদ বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। এগুলোর দাম প্রায় একই আছে।