তাদের নিয়ে অনেক কথা, অনেক গুঞ্জন। শোনা যায়, দুজনের মধ্যে নাকি সম্পর্ক ভালোনা। একজন আরেকজনকে দেখতেও পারেন না। ভিতরে ভিতরে ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে।
তো বিরাট কোহলি আর মহেন্দ্র সিং ধোনির মধ্যে সম্পর্ক কতটা শীতল ? সত্যিই তারা একজন আরেকজনকে অপছন্দ করেন কিনা? তা জানার আগ্রহ যাদের খুব বেশি, তাদের জন্য আছে গরম খবর। আজ বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারত অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে প্রমাণ হলো সাবেক অধিনায়ক ধোনির সঙ্গে তার ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব নেই মোটেও। যদি থেকে থাকেও তবে সেটা একদম ভেতরে ভেতরে। যার বাহ্যিক প্রকাশ নেই একটুও। আর তাই দলে ধোনির অবদান তথা এখনকার মন্থর ব্যাটিং ও স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ধোনির পাশে দাঁড়ালেন বিরাট কোহলি।
লম্বা চওরা প্রায় ১৫-১৬ মিনিটের প্রেস মিটে অনেক কথা ও প্রশ্নর ভিড়ে এক ভারতীয় সাংবাদিক মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিং বিশেষ করে তার সাম্প্রতিক স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নানারকম উপমা আর উদাহরন টেনে প্রশ্নটা সাজানো হলো, ‘আচ্ছা বিরাট অনেক ক্রিকেটার বিশেষ করে সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই মহেন্দ্র সিং ধোনির সাম্প্রতিক শ্লথ গতির ব্যাটিং, বিশেষ করে কম স্ট্রাইকরেট নিয়ে কথা বলছেন। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধোনির স্ট্রাইকরেট ছিল খুব কম এবং তারা সবাই ধোনির স্ট্রাইকরেটে বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। আপনি কি মনে করেন ?
বিরাট কোহলি এর জবাবে অনেক লম্বা চওরা কথা বললেন। যার পরতে পরতে ছিল সহমর্মিতা। একজন সাবেক অধিনায়ক ও সিনিয়র পার্টনারের পাশে কীভাবে দাড়াতে হয়, প্রেস মিটে তার সম্পর্কে নেকিবাচক প্রশ্ন করা হলে কীভাবে তার পক্ষ নিয়ে কথা বলতে হয়- তা দেখিয়ে দিলেন বিরাট। বললেন , আমার মনে হয় এ বিষয়ে আমি আগেও মানে শেষ ম্যাচের পর কথা বলেছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা, যার সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি সিনিয়র, অভিজ্ঞ, পরিনত। তিনি অনেক ভালো বোঝেন। জানেন কখন কি করতে হবে।
ধোনির ক্রিকেট বোধ ও অনুভবের প্রশংসা করে কোহলি আরও যোগ করেন, ধোনি এমন কোনো ক্রিকেটার নন যে, তাকে বলে দিতে হবে কখন, কোথায় কী করতে হবে। তিনি ওসব অনেক ভালো বোঝেন। জানেন কখন কী করণীয়।
তারপর ধোনির সোনালী অতিতের প্রসঙ্গ টেনে এনে কোহলি বলে ওঠেন, ‘ধোনি অতীতে বারবার বহু সংকটে বিপদে আর প্রয়োজনে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন। এই বছরেও যদি তার পারফরম্যান্স দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনি কী দারুন খেলেছেন! আমার মনে হয় না এক-দুটি বিচ্ছিন্ন ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে তাকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে। কারণ হঠাৎ এক-দুটি খেলায় যেকারো পারফরম্যান্স খারাপ যেতে পারে।’
ধোনির স্ট্রাইকরেট অধিনায়ক হিসেবে কোহলির জন্য মোটেই চিন্তার বিষয় না। সবার সামনে বললেন তিনি তা নিয়ে ভাবছেনও না, ‘আমরা ওদিকে তেমন তাকাচ্ছিই না। তিনি জানে আসলে তাকে কী করতে হবে। শুনুন আপনি যে ম্যাচের কথা বলেছেন, সেই ম্যাচ শেষে তিনি নেটে গিয়ে বাড়তি ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন। বাড়তি ঘামও ঝড়িয়েছেন। আর তার পরের খেলায় আমাদের জয়সূচক পুঁজি গড়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন এবং আমরা জিতেছিও। দুই পয়েন্টও পেয়েছি। শেষ কথা হলো আমরা নিজেদের নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট এবং মনে হয় আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি।