করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভিত্তিতে শুধু লাল জোন সাধারণ ছুটির আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নির্দেশনা রাতে সংশোধিত আকারে প্রকাশ করে। তাতে শুধু লাল জোনে সাধারণ ছুটির কথা বলা হয়েছে। যদিও আগের নির্দেশনায় লাল ও হলুদ জোনে সাধারণ ছুটির কথা বলা হয়েছিল।
নির্দেশনায় বলা হয়, লাল অঞ্চলে (আগে ছিল লাল ও হলুদ) অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তর এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত ‘বাংলাদেশ রিস্ক জোন বেজড কভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন স্ট্রাটেজি/গাইড’ অনুসরণ করে সংক্রমণের ভিত্তিতে সংক্রামক রোগ প্রতিরাধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর কর্তৃত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারবান কর্তৃপক্ষ লাল অঞ্চল (রেড জোন), হলুদ অঞ্চল (ইয়োলো জোন), সবুজ অঞ্চল (গ্রিন জোন) হিসেবে ভাগ করে জেলা/উপজেলা/এলাকা/বাড়ি/মহল্লাভিত্তিক জন চলাচল/জীবনযাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
এই হলুদ ও সবুজ অঞ্চলের ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
প্রত্যেকটি লাল জোনের জন্য কভিড নমুনা পরীক্ষা, কভিড-ননকভিড স্বাস্থ্যসেবা প্রটোকল, কোয়ারেন্টিন/আইসোলেশন, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, জন চলাচল, যান চলাচল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, খাবার ও ওষুধ সরবরাহ, দরিদ্র লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান, মসজিদ-মন্দির-অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্মচর্চা, জনসচেতনতা তৈরি, আইন-শৃঙ্খলঅ রক্ষা, ব্যাংকিং সুবিধাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান/শিল্পপ্রতিষ্ঠান/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পরিচালনার বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
হলুদ ও সবুজ অঞ্চলে (আগে ছিল সবুজ) সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। উক্ত নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা ১৯ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। জরুরি ও অত্যাবশকীয় ক্ষেত্র ব্যতীত সব সভা ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আয়োজন করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুরোধ অনুসারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জোন সংক্রান্ত বিষয়াদি সমন্বয় করবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে কোন এলাকাগুলো লাল ও হলুদ এলাকায় পড়েছে তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যখন যে এলাকাটি লাল এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে, তখন থেকে ওই সব এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে।