ভারতের মধ্যপ্রদেশে দেশটির স্থানীয় এক সাংবাদিককে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। প্রদেশের সরকারি এক কর্মকর্তার বাড়িতে তার শরীরে আগুন দেয়া হয় বলে নিহত সাংবাদিকের স্বজনরা দাবি করেছেন। বুধবার সকালের দিকে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ বলছে, মধ্যপ্রদেশের কৃষি অধিদফতরের এক কর্মকর্তার বাড়ির সামনে থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাংবাদিক চক্রেশ জৈনকে উদ্ধার করেন তার পরিবারের স্বজনরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
প্রদেশের কৃষি কর্মকর্তা আমান চৌধুরীর বাড়ির সামনে থেকে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়। সাগর জেলা পুলিশ বলছে, ২০১৮ সালে আমান চৌধুরী সাংবাদিক চক্রেশ জৈনের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন (প্রতিরোধ) আইনে একটি মামলা করেছিলেন। এই মামলা নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদ চলছিল।
চক্রেশ জৈনের পরিবারের দাবি, কয়েকদিন পর মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। তার আগে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার সকালে চক্রেশ কৃষি দফতরের ওই কর্মকর্তার বাড়িতে যান। ওই সাংবাদিকের ভাই রাজকুমার জৈনের অভিযোগ, চক্রেশ যে ওই কর্মকর্তার বাড়ি গিয়েছিলেন, সেটা পরিবারের সব সদস্যই জানতেন। দীর্ঘক্ষণ তিনি না ফেরায় আমান চৌধুরীর বাড়ি গিয়ে চক্রেশকে প্রায় সম্পূর্ণ দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।
রাজকুমার বলেন, ওই কর্মকর্তাই আমার ভাইকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে; যাতে সত্য উন্মোচন না হয়। পুলিশ বলছে, যখন চক্রেশ জৈনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়; তখন তার শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তারও শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনিও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
তার বিরুদ্ধে চক্রেশ জৈনের পরিবারের আনা অভিযোগ উড়িয়ে আমান চৌধুরী জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে চক্রেশ তার বাড়িতে আসেন। কথাবার্তা চলাকালীন হঠাৎ চক্রেশ নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ বলছে, নিহত সাংবাদিকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমান চৌধুরী ও আরও একজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।