এপ্রিল ২৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অর্থনীতি জাতীয় প্রচ্ছদ রাজণীতি

সামাজিক বনায়নে সচ্ছল হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ: প্রধানমন্ত্রী

সামাজিক বনায়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর আমরা সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। এর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা পেয়ে মানুষ এখন সচ্ছল জীবন-যাপন করছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক বনায়নের সঙ্গে জড়িত ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬০১ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৪ জনের মাঝে ৩৫৬ কোটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার ৫২২ টাকার চেক দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০১৯ এবং জাতীয় বৃক্ষ রোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান। এবার ৫ জুন ঈদুল ফিতর ছিল। তাই আজ বাংলাদেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘বায়ু দূষণ’।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশ ও বনের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

বক্তব্য শেষে পরিবেশ ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বৃক্ষ মেলার বিভিন্ন অংশ তিনি ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক বনায়ন প্রকল্প বহু আগে থেকেই ছিল। ১৯৯৬ সালের আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা সামাজিক বনায়নের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলেছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর বনের পাশে বসবাসকারী পরিবারদের আমরা বনের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করি। তাদের গাছের চারা দেই। গাছ লাগিয়ে তারা লালন-পালন করে। যারা গাছ লাগিয়ে লালন-পালন করে বড় করে, তাদের গাছ বিক্রি থেকে ১০-২০ ভাগ লভ্যাংশ দেয়া হতো। ফলে তারা বনের রক্ষণাবেক্ষণে মনোযোগী হতে পারেননি।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পরে সামাজিক বনায়নে অংশীদারদের ৭৫ ভাগ লভ্যাংশের টাকা দিয়েছি। ফলে তারা নিজেরা লাভবান হচ্ছে, নিজেরা সচ্ছল হচ্ছে এবং বন রক্ষায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অংশীদারদের ৭৫ ভাগ দেয়ার পরে বাকি ২৫ ভাগ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা থাকে, যা দিয়ে আবার গাছের চারা উৎপাদন হয় এবং তা আবার অংশীদারদের বিলি করা হয়। সম্প্রতি ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৪ জন অংশীদারের মধ্যে ৩৫৬ কোটি ৮২ লাখ ৩৪ হাজার ৫২২ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী, তাদের জন্য তহবিল গঠন করা হয়েছে। সে তহবিল থেকে তাদের আরও অর্থ দেয়া হয়, বনায়ন টিকিয়ে রাখার জন্য।

‘গাজীপুরের বন রক্ষা করার জন্যই আমরা সাফারি পার্ক প্রকল্প গ্রহণ করেছি। কারণ যে হারে ভূমি খেকোরা জমিগুলো দখল করে নিচ্ছিল তাতে এই বন আর থাকতো না। তখন আমরা চিন্তা করলাম, এখানে যদি ভালো একটি সাফারি পার্ক করে দেই, তা আমাদের দেশের মানুষের চিত্তবিনোদনের কাজে লাগবে। কারণ, আমাদের দেশে মানুষের চিত্তবিনোদনের জায়গা কম। প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার জন্য আমাদের ছেলেমেয়েদের সুবিধা হয়। সেটা মাথায় রেখেই এই সাফারি পার্ক তৈরি করা হয়।’

‘প্রথম যখন আমরা সরকারে আসি, তখন সিলেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে ইকোপার্ক নির্মাণ করি। এগুলো করার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য বন রক্ষায় বনায়ন বৃদ্ধি করা। একই সঙ্গে পরিবেশকে সুরক্ষিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, আমরা জানি যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটা ধাক্কা আমাদের দেশে আসবে। আমরা কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেরাই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী না, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এজন্য দায়ী। তাদের কারণে পৃথিবীর ছোট ছোট দেশগুলো ভুক্তভোগী হচ্ছে। সেজন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে নিজস্ব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করার ব্যবস্থা নিয়েছি। নদী খনন কাজ চলছে, নদীর ধারে, সমুদ্র তীরে বনায়ন করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official