হোসে মারিয়া গিমেনেসের গোলে মিশরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত উরুগুয়েকে গোলবঞ্চিত রাখতে পারলেও ৮৯ মিনিটে গোল খেয়ে বসে মোহাম্মদ সালাহবিহীন মিশর। এসময় বেঞ্চে বসে থাকা সালাহকে বেশ হতাশ দেখায়।
এর আগে, উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করায় হতাশা নেমে আসে অস্কার তাবারেজের মুখজুড়ে। অন্যদিকে নিজেদের রক্ষণ সামলে আক্রমণে উঠেন মিশরের মারওয়ান মোহসেন, ত্রিজেগুয়েতরা। প্রথমার্ধে এভাবে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত ৪৫ মিনিট শেষে ০-০ গোলে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের পর অবশ্য আক্রমণের ধার বাড়ায় সুয়ারেজ-কাভানিরা। এরই ধারাবাহিকতায় সুযোগও আসে। ৭২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো উরুগুয়ে। কিন্তু সহজ একটা গোলের সুযোগ নষ্ট করে আরও একবার উরুগুইয়ান দর্শকদের হতাশ করেন সুয়ারেজ। গোলপোস্টের খুব কাছ থেকে সুয়ারেজের কাছ থেকে বলটি কেড়ে নেন মিশরের গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল শেনাউয়ি। ৮৩ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে বল পেয়ে হেড দিয়ে কাভানিকে দেন সুয়ারেজ। কিন্তু পিএসজি তারকা জোরালো শট জালে ঢুকতে পারেনি। এবারও ত্রাতার ভূমিকায় শেনাউয়ি। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ডিবক্সের কাছ থেকে ফ্রি কিক পায় উরুগুয়ে। কিন্তু এবারও গোল আদায় করতে পারেনি কাভানির জোরালো শট।
তবে রক্ষণ সামলাতেই যে কেবল ব্যস্ত ছিলেন মিশরীয়রা, তা কিন্তু নয়। পাল্টা আক্রমণে তারাও ভয় ধরানোর চেষ্টা করেছে বার বার। কিন্তু সালাহ না থাকায় একজন ফিনিশারের বেশ অভাব বোধ করেছিল মিশর। আর এই সুযোগে ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে গোলবারের বাম পাসের এক ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল আদায় করে উল্লাসে ফেটে পড়েন হোসে মারিয়া গিমেনেস। সুয়ারেজ-কাভানিরা যখন উল্লাসে ব্যস্ত তখন ক্যামেরায় হতাশ সালাহকে খুঁজে নেয় ক্যামেরা। নির্ধারিত সময়ের ১ মিনিট আগে দলের এমন হার মেনে নিতে পারছিলেন তিনি।