বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে আলোচনায় আসেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাস্ট্রপতির আদেশ ক্রমে তাকে এপ্রির ১১ থেকে ২৬ মে বাধ্যতামূলেক ছুটিতে পাঠান। যদিও ভিসি ছুটিতে থাকা কালিন অফিসিয়াল বিভিন্ন চিঠি ইস্যু করেছেন যার প্রমান সোংবাদিকদের কাছে রয়েছে। তার সর্বশেষ কর্মদিবস ছিল মাত্র ১ দিন ২৭ মে। সেই দিন তিনি কাউকে না জানিয়ে তার অপকর্মের বৈধতা দেওয়ার জন্য সিন্ডিকেট কল করেন। জরুরী সিন্ডিকেট কল করার ক্ষেত্রেও অনন্ত ২৪ ঘন্টা আগে সন্মানীত সদস্যদের জানানো কথা থাকে, সে ক্ষেত্রে তিনি ১ দিনে সিন্ডিকেট কল করতে পারেন না। তিনি তা করেছেন এবং সেই সময় ভারপ্রাপ্ত ভিসি সহ বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কাউকেই তিনি সদস্য হিসেবে মিটিংয়ের কথা জানাননি যা কোন ভাবেই আইন সম্মত নয়।
তিনি ৪৬ দিন ছুটিতে থাকাকালীন বিভিন্ন বেআইনি চিঠি ইস্যু করেছেন। যার মধ্যে পরিকল্পনার উপ পরিচালক মো: হুমায়ুন কবীর কে পরিচালক( পরিকল্পনা ) অতিরিক্ত দায়িত্ব এবং সেই সাথে তাকে রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদান করেন।
তিনি নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মো: মুরশীদ আবেদীন কে উপ প্রকৌশলী অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করেন।
তিনি ঢাকা লিয়াজো অফিসের সহকারি পরিচালক ( পরিকল) মো: মিজানুর রহমান কে উপ পরিচালক ( পরিকল্পনা ) চলতি দায়িত্ব প্রধান করেন।
ভিসি ছুটি কালীন সময় তার এই দালালদের বিভিন্ন ভাবে পুরস্কৃত করেন।যে ভাবে পুরস্কৃত করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি মোস্তাকদের মেজর জেনারেল জিয়াউপ রহমান! শিক্ষার্খীদের হুসিয়ারী এই দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কতৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান সহ তাদের প্রতিহত করবে। বেআইনী এই কার্যকলাপ তারা মেনে নিবেনা। দরকার হলে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা হবে।
তাদের এই কাগজ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মেনে নেয়নি কিন্তু ২৭ তারিখ একদিন সময় পেয়ে তিনি তাদের নামে পুনরায় আবার দায়িত্বের ভুয়া পেপার ইস্যু করে যা বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষার্থী- শিক্ষক , কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিকট স্বস্তিদায়ক নয়।
তিনি তার কার্য়দিবস শুরু থেকেই অনেক বির্তকের জন্ম দিয়েছেন, কখন রাজাকের বাচ্চা , কখন রাজাকার মুক্ত ক্যাম্পাস, কখন শিক্ষার্থীদের উপরে অযুক্তিক ফি ধার্য করে কিনবা ভর্তি পরীক্ষার টাকা আত্বসাতের মাধ্যমে।এই চার বছরে ভর্তি পরীক্ষার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদ এবং কর্মকর্তা পরিষদের ভাষ্য মতে তিনি এই ভর্তি পরীক্ষায় একক আধিপত্য বিস্তার করতেন এবং সুধু তার নিজস্ব কয়েকজন দালালের কথা অনুসারে কাজ করতেন। বিনিময় তাদের মোটা অংকের টাকা ভাগ দিতেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগদানের শুরু থেকে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তা সহকারি পরিচালক পদমর্যাদার জনাব মো: ফয়সাল রুমির কু বুদ্ধির সাহায্য নেওয়া সুরু করে। তিনি তার অনেক অপকর্মের সঙ্গী।এই মাধ্যমে মো: ফয়সাল মাহমুদ রুমী আর্থিক ভাবে ব্যাপক লাভোবান হয়। ডায়েরী কমিটি ক্যালেন্ডার কমিটি সব কিছুর দায়িত্ব ছিল এই জনসংযোগ কর্মকর্তা। বর্তমানেও তার ব্যবসা চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে গিয়ে ভিসির সাথে কিছু খারাপ অফিসারদের যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেন বারতে থাকে। নিয়োগবানিজ্য হতে শুরু করে সব কিছুতেই তারা সক্রিয় হয়ে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। একে একে ভিসির বিশ্বস্ত হয়ে উঠে।
এই তালিকায় জাদের নাম প্রথম দিকে তারা হলেন: ১। জনাব মো: মুরশিদ আবেদীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ২। জনাব মো: হুমায়ন কবীর , উপ পরিচালক ( পরিকল্পনা ) ৩। জনাব সুব্রত কুমার বাহাদুর, উপ পরিচালক( অর্থ ও হিসাব) ৪। জনাব মো: মিজানুর রহমান, সহকারি পরিচালক, ঢাকা অফিস ৫। মো: ফয়সাল মাহমুদ রুমী , জনসংযোগ কর্মকর্তা ৬। মো: সাজ্জাতুল্লা ফয়সাল, সহকারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ৭। তামান্না শারমিন, সহকারি রেজিস্ট্রার ৮। জনাব নিত্ত নন্দ , সহকারি রেজিস্ট্রার সহ আরো অনেকেই এই ভিসির অপকর্মের অংশিদার।
স্বৈরাচারী সেই ভিসির সেই দালালেরা তাদের ভুয়া পুরস্কৃত কাগজ পুনরায় ১৯ জুন আবার বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর যোগদান পত্র প্রেরন করেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাজায়।
এই দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- শিক্ষক, কর্মকর্তা , কর্মচারীরা ভিতরে ভিতরে ফুসে উঠছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে গোপন সূত্রে শোনা যাচ্ছে ।