মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থবিধি মেনে মাস্ক পরিধানে উদ্ধুদ্ধ করতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ জাকির হোসেন মজুমদারের নেতৃত্বে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বেলা ১২ টায় বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম এলাকা আমতলার মোড়ে বিভিন্ন যানবাহনের চালক, শ্রমিক, যাত্রি, পথচারী ও সাধারণ মানুষের মাঝে এ প্রচারণা চালানো হয়।
এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, সারাদেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। সবাই সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান। বিএমপি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পথচারী, শ্রমিক, বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, লিফলেট ও জনসচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচার, প্রচারণা চালিয়েছি এবং বর্তমানেও এ সব প্রচারণা চলমান আছে। সুতরাং আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে দৈনন্দিন কর্মকান্ড পরিচালনা করুন। বরিশাল নগরীর সড়ক গুলোতে চাঁদাবাজ ও যানজট মুক্ত করে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ বদ্ধ পরিকর। আমরা সবাই সড়ক পরিবহন আইন মেনে চললে সড়কে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনার হার কমে যাবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিএমপির সুযোগ্য কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান স্যারের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই নগরীতে চলাচলকারী থ্রী হুইলার, অটোরিক্সা ও মাহিন্দ্রার চালকের ডান পাশে যাতে কোন যাত্রী বসতে না পারে সে জন্য দুটি করে রড লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে চালক স্বাচ্ছন্দে গাড়ী চালাতে পারবেন এবং সড়ক দুর্ঘটনার হার কমে যাবে। সড়কে যে কোন প্রকার উন্নয়নের নামে চাঁদাবাজী বন্ধ করতে অভিযান চলছে এবং এ অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়াও গন পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গনপরিবহনে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখত কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএমপি ট্রাফিক পুলিশের টি আই আঃ রহিম, সার্জেন্ট নজরুল ইসলাম, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মেহেদী হাসান প্রমুখ।