করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। অন্তত ১০০টি সংস্থা করোনার প্রতিষেধক তৈরির জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেউই সাফল্য পায়নি।
এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর পাওয়া গেছে আমেরিকা এবং চীন থেকে। দুই দেশের দু’টি সংস্থার দাবি, তাদের তৈরি প্রতিষেধক প্রাথমিক পরীক্ষায় যথেষ্ট কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আমেরিকার সংস্থা Moderna.inc-এর তৈরি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আর চীনের সংস্থা Sinovac Biotech-এর তৈরি প্রতিষেধক ৯৯ শতাংশ কার্যকর বলে সংস্থা দাবি করেছে।
Sinovac Biotech-এর ভ্যাকসিনটি ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপরে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সংস্থার দাবি, ব্রিটেনে এই প্রতিষেধকটির স্টেজ থ্রি ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিষেধকটি যে গবেষকরা তৈরি করেছেন, তাদের দাবি, এটি ৯৯ শতাংশ কার্যকর হতে চলেছে। বেজিং-এ সংস্থা একটি প্লান্ট তৈরি করছে। সেখানেই প্রতিষেধকটির ১০ কোটি ডোজ তৈরি হবে। সবার প্রথমে যাদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি, তাদের উপরে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে।
মার্কিন সংস্থা Moderna.inc-এর তৈরি ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হয়েছে। এই প্রতিষেধকটির সাহায্যে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যা জীবাণুর আক্রমণকে অনেকটাই দুর্বল করে দেয়।
এই প্রতিষেধকের ট্রায়াল আলাদা আলাদা স্টেজে করা হচ্ছে। সিয়াটেলে ৪৫ জন মানুষের শরীরে দু’বার কম মাত্রায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ট্রায়াল পর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে করোনা প্রতিরোধকারী অ্যান্টি বডিজ-এর খোঁজ মেলে। যা ভাল লক্ষণ বলেই মনে করছেন গবেষকরা।