বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক পেতে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন বর্তমান তিন মেয়রসহ ১১ জন। সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের বর্তমান মেয়ররা সবাই বিএনপির। রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী ও বরিশালে আহসান হাবীব কামাল। ২০১৩ সালে একই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
সকাল ১০টায় নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরী নিজেই তার মনোনয়ন ফরম দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে থেকে সংগ্রহ করেন।
বরিশালে আহসান হাবীব কামাল ছাড়াও দক্ষিণ জেলা সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ছাত্রদল সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও বরিশালের মেয়র আহসান হাবীব কামালের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়া মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সহ সভাপতি প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও মহানগর নেতা ছালাহউদ্দিন রিমন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
১০ হাজার টাকা মূল্যমানের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা।
আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ জুলাই পর্যন্ত।
মেয়রপ্রার্থী ঠিক করতে বুধবার দলীয় কার্যালয়ে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে মনোয়নপত্র জমাদান এবং সেদিন রাতে গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার হবে।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে নিয়ে সরকার কী করছে -সেটা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দেখার পরে আমরা সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তবে প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসেবে আমরা মনোনয়ন ফরম বিক্রি, জমাদান ও সাক্ষাৎকারের কাজ গুলো সম্পন্ন করে রাখব।’
তিনি জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়ে প্রার্থীরা জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকার প্রদান করবে।
এ সময়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, আসাদুল করীম শাহিন, গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।