বরিশালের নির্মানাধিন গোমা ব্রীজের উচ্চতা কম হওয়ায় বন্ধের পথে পটুয়াখালী টু ঢাকা নদীপথ। দূর্ভোগের মুখে চলাচলকারী পন্য ও মালামালবাহী সহ ছোট বড় অনেক নৌযান। স্থানীয়দের দাবি, নদীবন্দরের সাথে সড়ক ও জনপদের সম্বনয়ের অভাব। উচ্চতা না বাড়ালে দুর্ভোগে পরবে হাজারো নৌপথের যাত্রীরা।
এদিকে BIWTA এর সাথে সরক ও জনপদের বিরধী মন্তব্য দিলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস জেলা প্রসাশকের।
প্রায় দুই বছর আগে ২৫ কোটি টাকার বরাদ্দে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার মাহফুজ খান।কিন্তু সেতুটির উচ্চতা কম হওয়ায় আপত্তির মুখে কাজ বন্ধ থাকে প্রায় ১১ মাস।হটাৎ করোনার ছুটির ফাকে ফের কাজ শুরু করে ঠিকাদার মাহফুজ খান। সিডিউল অনুযাই কাজ চলছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মাহফুজ খানের কাছে জানতে চাইলে মাহফুজ খান বলেন, ব্রীজটি করতে আমায় টাকা দিবে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রীয় টাকায় অনিয়ম করলে রাষ্ট্র কি টাকা দিবে এমন প্রশ্ন ছুড়েন সাংবাদিকদের দিকে।
বরিশাল নদী বন্দরের পোষ্ট অফিসার আজমল হুদা মিঠু জানান, ব্রীজটি তৈরীর পূর্বে সড়ক ও জনপদ, বিআইডব্লিউটি অথবা বরিশাল নদীবন্দরের নৈপথ সংরক্ষণের বিভাগ, ব্যাবস্থাপনা বিভাগ,প্রকৌশল বিভাগ কতৃক কারোই মতামত গ্রহন করা হয় নি।
বরিশাল সড়ক ও জনপদ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান,বাংলাদেশে মোটামুটি মিডিয়াম লেভেলের থেকে বড় লেভেলের নদীর উপর উপরে যখন সেতু নির্মান হয় তখন বিআইডব্লিউটিএর থেকে নেমিমেশন ক্লিয়ারেন্স নেওয়া হয়।নেমিনেশন ক্লিয়ারেন্স নেয়ার পরে ব্রিজ ডিজাইনের যে অনুসাঙ্গীক কাগজপত্র তার সাথে জমা দেওয়া হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানান,আমরা বিআইডব্লিউটিএ এবং সড়ক ও জনপদ ব্রীজ বিভাগকে নিয়ে বসব।এটিকে প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে কিন্তু কোনোভাবে নৌপথ বন্ধ করে কোন ব্রীজ নির্মান হবে না।
সড়ক ও জনপদ এবং বিআইডব্লিউটিএর সম্বনয়ে এসে সকল অনিয়মের উপরে আসে নির্দিষ্ট উচ্চতা বজায় রেখে ব্রীজটি নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর।