বাংলাদেশের দুই জাতীয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান রাজনীতি আসছেন কিনা বা জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা নিয়ে এ মুহূর্তে মন্তব্য করতে চান না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে কিছু চমক থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সাকিব আর মাশরাফি এদের ব্যাপারে আমরা কোনো মন্তব্য এই মুহূর্তে করতে চাই না। সাকিবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে নির্বাচন নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে কিছু চমক থাকছে। তবে সেটা এখনও চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। অনেকের আবেদন আছে, আগ্রহ আছে। সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াক্ষেত্র এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব— এমন ধরনের কিছু প্রার্থী থাকবেন। তবে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক না কেন, তাকে উইনেবল প্রার্থী হতে হবে।’
ছাত্রলীগের নতুন কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের যাতে ভালো কমিটি হয়, এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজেই খোঁজ-খবর করছেন। খুব শিগগিরই ছাত্রলীগের কমিটি প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা করছি। তবে দিনক্ষণ বলতে পারবো না। ছাত্রলীগের ভালো কমিটি আসবে। সবার প্রশংসা করার মতোই কমিটি আসবে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আচারণবিধি মেনেই আওয়ামী লীগ প্রচার-প্রচারণা চালাবে।
রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ১৮ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেওয়া হবে। আর ২২ জুন সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলীয় প্রার্থী বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকের শুরুতে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু- স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ উপলক্ষে দলের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটি প্রকাশিত ‘মহাকাশে বাংলাদেশ’ নামের পুস্তিকা ওবায়দুল কাদেরের হাতে তুলে দেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। এ সময় ৭ জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস এবং ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। এছাড়া আগামী ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ড. হাছান মাহমুদ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ড. শাম্মী আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।