ক্ষুদ্র ঋণ গ্রাহকদের ঋণ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন করে খেলাপি না করার নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) । আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।
এর আগে এমআরএ গত ২২ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে ৩০ জুন পর্যন্ত কাউকে ঋণ খেলাপি না করার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছি। নতুন প্রজ্ঞাপনে সেই সময় তিন মাস সময় বাড়ানো হলো।
নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব ও ক্ষুদ্র ঋণ গ্রাহকদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত ২২ মার্চ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঋণ শ্রেণিকরণের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল— চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমাণে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। অর্থাৎ এ সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না। তবে কোনও ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে।’
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, ‘করোনার কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বর্ণিত বিষয়াবলী বিবেচনায় এবং ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর করোনার নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।’
এই সংকটকালে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনও আগ্রহী সক্ষম গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সে ক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না, উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে ঋণ বিতরণ, সঞ্চয় উত্তোলন বা ফেরতসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি পরিপালন সংক্রান্ত আগের নির্দেশনাটি মেনে চলতে বলা হয়েছে।