এপ্রিল ২৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ জেলার সংবাদ নারী ও শিশু প্রশাসন শিক্ষাঙ্গন

২০ জনের অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে স্বীকার করলেন শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক:

আপত্তিকর ছবি তুলে অসংখ্য ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জে দুই স্কুলশিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী ও অভিভাকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে র‌্যাব ও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

এ সময় লম্পট ওই দুই শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে র‌্যাব ও পুলিশের সামনে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়ার অক্সফোর্ড হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম আট বছর ধরে স্কুলটিতে অংক ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন।
দীর্ঘ এ সময়ে অসংখ্য ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে ধর্ষণ করেছেন তিনি। ছাত্রীদের কোচিং করানোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেন। এলাকায় তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রচার হলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে যান। এ সময় আরিফুল ইসলাম তার মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবি ডিলিট করেন।

কিন্তু এলাকাবাসী মোবাইলটি উদ্ধার করে এলাকার একটি মোবাইলের দোকানে নিয়ে সফটওয়ারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করেন। ছবিগুলো দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। পরে তারা ওই স্কুলে হামলা চালান। এ সময় স্কুলের লম্পট শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেয়া হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার লম্পট শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে সহযোগিতা করে আসছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়। ওই মেয়ে এখন ৯ম শ্রেণিতে পড়ছে। এখনও লম্পট শিক্ষকের কাছ থেকে পরিত্রাণ পায়নি তার সন্তান। সন্তান তাকে না জানানোয় তিনিও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। গত দু-তিনদিন আগে জানতে পেরেছেন।

এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষককে সহযোগিতা করতেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। তিন মাস আগে স্কুলের এক শিক্ষিকাকেও ওই শিক্ষক যৌন হয়রানি করে। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে প্রধান শিক্ষক আরিফুলকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন (পিপিএম) জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আরিফুলেল মোবাইল থেকে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ জনের অধিক ছাত্রীকে ওই শিক্ষক ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে, যা প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষকই আমাদের কছে স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

banglarmukh official

বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার শিশু, ভগ্নিপতি ও শ্বশুর আটক

banglarmukh official