নিউজ ডেস্কঃ গাজীপুরের আবাসিক হোটেলের স্টোর রুমে লুকিয়ে রাখা ড্রামের ভিতর থেকে এক অজ্ঞাত নারীর (২৫) লাশ উদ্ধারের প্রায় ৫ বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অনৈতিক সম্পর্ক করতে রাজী না হওয়ায় ওই নারীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখার জন্য লাশ ড্রামে লুকিয়ে রেখেছিল ওই হোটেলের মালিক ও কর্মচারীরা। এ ঘটনায় জড়িত হোটেলের ৩ কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানার পালোহাটি এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে সুমন (৪৫), একই জেলার ত্রিশাল থানার আমিরাবাড়ী এলাকার মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে কামরুল হাসান সবুজ (৩৮) এবং মুন্সিগঞ্জের টংগীবাড়ী থানার রাউৎভোগ এলাকার আয়নাল ফকিরের ছেলে আমির হোসেন ফকির (৩৩)। তারা সবাই গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকাস্থিত বৈশাখী আবাসিক হোটেলের কর্মচারী।
গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকাস্থিত বৈশাখী আবাসিক হোটেলের নীচতলার জেনারেটর রুমে লুকিয়ে রাখা একটি ড্রামের ভিতর থেকে অজ্ঞাত এক নারীর (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।